এখনকার ছেলেমেয়েরা আমাদের সময়ের চেয়ে স্মার্ট! ঠিক কতটা স্মার্ট তা বোঝানোর জন্য একটা ছোটোখাটো উদাহরণ দেয়া যেতে পারে- আইফোনের নতুন কোনো ফিচার নিয়ে খটকা লাগলে আমি আমার ১১ বছরের ছেলের দ্বারস্থ হই!! অবশ্য এর একটা কারণও আছে। আমার ফোন যথেষ্ট সুরক্ষিত, সবসময় এটি পাসওয়ার্ড দিয়ে লক করা থাকে যা আমি ছাড়া আর কেউ জানে না। এমনকি এতে ফিঙ্গারপ্রিন্টও যোগ করা আছে যেন পাসওয়ার্ড দিতে গিয়ে আবার বাচ্চারা না দেখে বা নিজে নিজে লক খুলে গেমস খেলতে না পারে। কিন্তু, একদিন অবাক হয়ে আবিষ্কার করি আমার ছেলে পাসওয়ার্ড ছাড়াই ফোনের লক খুলছে! মানে ইতোমধ্যে সে যেভাবেই হোক তার ফিঙ্গারপ্রিন্ট ফোনে সেট করে নিয়েছে।
বাবা-মায়েরা, বিশেষত আমার মতো যাঁদের সন্তানরা আমাদের চেয়ে স্মার্ট, তাঁরা প্রথমত ধাক্কা খাই! ক্ষেত্রবিশেষে বকাঝকা দিয়ে কম্পিউটার, মোবাইল ফোন সবকিছু ‘বন্ধ’ করিয়ে দেই। কিন্তু, আদৌ কি বন্ধ হয়? ঘরে বন্ধ হলে বাহির আছে, আছে বন্ধুর বাসা আর পাড়ার সাইবার ক্যাফে – মানে কোনো না কোনো অ্যাকসেস ঠিকই থেকে যাচ্ছে।
একদিকে ইন্টারনেটে লাখো কোটি ভালো/মন্দ কনটেন্ট, আর অন্যদিকে এই বয়সটা (বিশেষত, আট থেকে ষোল) এমন যে যা শুনে বা দেখে তাই বিশ্বাস করতে ইচ্ছে করে। তাই, আপনাকে অবশ্যই সন্তানের চেয়ে ‘স্মার্ট’ হতেই হবে! বাচ্চাদের ইন্টারনেট অ্যাকসেস বন্ধ করা যাবে না। কেবল তাঁদের না জানিয়ে নজর রাখুন- ইন্টারনেটে তারা কী করছে? শুরু থেকেই অনাকাঙ্ক্ষিত ওয়েবসাইট ক্যাটাগরি ব্লক করে রাখুন। আর, যাচাই করে দেখতে হবে আপনার মোবাইল ফোনের প্রাইভেসি যেন অযথা ডাউনলোড করা কোনো অ্যাপ নষ্ট করতে না পারে। এটাই পার্ফেক্ট প্যারেন্টাল কন্ট্রোল!
তবে, এর বাইরে যদি আপনার কাছে আর কোনো আইডিয়া থেকে থাকে অবশ্যই জানাবেন আমাদের।