ইন্টারনেটের বেনিফিটস যেমন বলে শেষ করা যাবে না, তেমনি সচেতন থাকতে হবে ভাইরাস এবং স্পাইওয়্যার থেকে। ধরা যাক, আপনি কোনো মিডিয়া প্লেয়ার ডাউনলোড করলেন, কিন্তু ইনস্টলেশনশেষে দেখলেন সাথে একটি ব্রাউজার এবং অ্যান্টিভাইরাসও নিজে থেকে ইনস্টলড হয়ে গেছে! অতঃপর সেই অ্যান্টিভাইরাস দিয়ে পিসি স্ক্যান দিয়ে দেখলেন আপনার কম্পিউটারে অসংখ্য ভাইরাস!!
কিংবা খবর পড়ার সময় হুট করে পপ-আপ ভেসে উঠলো যে আপনার পিসিতে অনেক রিস্ক – ফিক্স করতে ক্লিক করুন। ক্লিক করলেন তো ফাঁদে পা দিলেন… কেননা এটি রেজিস্ট্রির কিছু ফাইল মুছে দিয়ে আপনাকে এরপর বাধ্য করবে রেজিস্ট্রি এডিটর ক্রয় করতে।
ফ্রি অ্যাপের লোভ এবং তাতে কাজ না হলে ভয় দেখানো এসব প্রোগ্রামের নাম স্ক্যায়ারওয়্যার। এদের কাজই ভয় দেখানো। মূলত, যেসব কম্পিউটারে নিরাপত্তা প্রোগ্রাম থাকে না সেসব কম্পিউটারে বিভিন্ন সাইট ব্রাউজ করার সময় ও দরকারি সফটওয়্যারের ছদ্মবেশে স্ক্যায়ারওয়্যার প্রবেশ করে।
স্ক্যায়ারওয়্যার আক্রমণের ফলে ঘটতে পারে নিচের যেকোনো রকম ঘটনাই:
শুনতে কেমন লাগলেও হুট করে আপনার কম্পিউটার হয়ে উঠতে পারে জম্বি, আপনার হয়ে পাঠাতে পারে স্প্যাম ইমেইল।
হুট করে দেখা যেতে পারে অজান্তে আপনার কার্ড থেকে কেনাকাটা বা টাকা উইথড্র করে নেয়া হচ্ছে!
নিজের অজান্তে প্রকাশিত হতে পারে আপনার একান্ত ফাইল/ছবি ইত্যাদি।
স্ক্যায়ারওয়্যার থেকে নিরাপদ থাকতে করণীয়সমূহ নিম্নরূপ:
যে ব্রাউজারই ব্যবহার করেন না কেন, নিয়মিত হালনাগাদ করুন। সবচাইতে ভালো হয় কম্পিউটার বা মোবাইল ফোনের সঙ্গে থাকা ডিফল্ট ব্রাউজার ব্যবহার না করে আলাদা করে ফায়ারফক্স বা ক্রোম ডাউনলোড করে নিয়ে ব্যবহার করতে পারেন।
ব্রাউজারের মতো কী ব্রাউজ করছেন সে বিষয়েও সচেতন থাকা জরুরী। সাইটের নামের শুরুতে https:// আছে কি না, কিছু ডাউনলোড করার আগে রিভিউ যাচাই করে নেয়া ইত্যাদি।
অনলাইনে কিছু ক্লিক করার আগে ভেবে নেয়া উচিত। বিশেষত, অপরিচিত কোনো মানুষের কাছ থেকে আসা ইমেইলের অ্যাটাচমেন্ট এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় পাওয়া লিংক।
ইন্টারনেট ব্যবহার করলে কম্পিউটার এবং মোবাইল ফোনে অ্যান্টিভাইরাস ব্যবহারের কোনো বিকল্প নেই। তাই বলে অনলাইন থেকে নামসর্বস্ব অ্যান্টিভাইরাস ডাউনলোড না করে বাজার থেকে দেখেশুনে যাচাই করে ভালো মানের ইন্টারনেট সিকিউরিটি ও মোবাইল সিকিউরিটি ব্যবহার করা উচিত।