এনক্রিপশন, কীলগার, … এমন অনেক শব্দ নেটিজেনদের মুখে মুখে ফিরলেও অনেকসময় দ্বিধান্বিত হয়ে যান নবীশরা। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এবং প্রচলিত বাংলা শব্দ না থাকায় ব্লগ পোস্টেও আমরা অনেক সময় এসব শব্দ ব্যবহার করি। নতুন কিংবা অনভ্যস্ত পাঠকদের কথা বিবেচনা করে এই পোস্টে থাকছে প্রচলিত কিছু সাইবার সিকিউরিটি শব্দ পরিচিতি:
পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার প্রক্রিয়া। হতে পারে চার বা ছয় ডিজিটের পিন কিংবা ইউজার নেম ও পাসওয়ার্ড। মোবাইলের লক খোলা থেকে শুরু করে ফেসবুক কিংবা জিমেইলে লগইন – পিন বা আইডি, পাসওয়ার্ড দিয়ে যাচাইকৃত হওয়ার নামই অথেনটিকেশন।
প্রয়োজনীয় ও সংবেদনশীল ফাইল নিত্য ব্যবহার্য ডিভাইস ছাড়াও ইউএসবি ডিভাইস কিংবা গুগল ড্রাইভ বা এ জাতীয় কোনো ক্লাউড সার্ভারে সংরক্ষিত করে রাখা।
নেটওয়ার্কের কোনো একটি ডিভাইস হ্যাক করে পর্যায়ক্রমে অন্যান্য ডিভাইস থেকে তথ্য চুরি করাকে ব্রিচিং বলা হয়ে থাকে।
হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যারের সমন্বয়ে গঠিত ডাটাবেস প্ল্যাটফর্ম যেখানে ডাটা সংরক্ষণের পাশাপাশি প্রসেসিং করা হয়।
এমন একটি পদ্ধতি যা কম্পিউটারে রক্ষিত তথ্য বিশেষভাবে সংকেত বা চিহ্নে পরিবর্তীত করে ফেলে যেন অনাকাঙ্ক্ষিত কেউ তা পেলেও পড়তে বা বুঝতে না পারে। এনক্রিপ্টেড ডাটাকে আবার বিশেষ পিন (এনক্রিপশনের সময় সেট করে দেয়া) দিয়ে ডিক্রিপ্টেড করা যায়।
যারা কৌশল খাটিয়ে অন্য কারো কম্পিউটার/মোবাইল ফোন কিংবা অনলাইন কোনো আইডি/ওয়েবসাইটের অ্যাকসেস নিয়ে নিতে সক্ষম।
একটি সফটওয়্যার প্রোগ্রাম যা টার্গেট কী বোর্ডে কোন কী চাপছে না চাপছে তা লিপিবদ্ধ করতে পারে।
অনলাইনে বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে ভাইরাস ছড়ানো।
কোনো কম্পিউটার সিস্টেমের নিয়ন্ত্রণ হাতে পেতে যেসব ভাইরাস ছড়ানো হয়।
অফ কিংবা অনলাইনে যেকোনো ক্ষতিকর প্রোগ্রাম যা দিয়ে কম্পিউটার বা মোবাইল ফোন হ্যাক হতে পারে।
নপ্রিয় কোনো ওয়েবসাইটের মতো নকল পাতা সাজিয়ে কৌশলে কাউকে সেখানে লগইন করতে উৎসাহিত করে আইডি হ্যাক করা তথা ইউজার নেম, পাসওয়ার্ডসহ ব্যক্তিগত তথ্য বা নথি সংগ্রহ করা।