বাংলাদেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর প্রায় ৮০ শতাংশই মোবাইল ইন্টারনেট ইউজার। কেবলমাত্র দেশেই নয়, বৈশ্বিকভাবেও কম্পিউটারে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর তুলনায় মোবাইল ফোনে ব্যবহারকারীর হার অনেক বেশি। ফলে স্বাভাবিকভাবেই মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীদের টার্গেট করে তৈরি করা ও ছড়ানো ভাইরাসের হারও বেশি।
মোবাইল ভাইরাসের মূল লক্ষ্য ব্যবহারকারীর তথ্য ও স্মার্ট ফোনে সংরক্ষিত ফাইল সংগ্রহ করা। পাশাপাশি, মোবাইল ফোন থেকে কেনাকাটা ও ট্রানজেকশন করা হলে ব্যাংকিং তথ্য হাতিয়ে নেয়ার জন্যও হ্যাকাররা অধীর হয়ে থাকে।
জনসচেতনতার জন্য আমাদের এবারের পোস্টে থাকছে এমন পাঁচটি মোবাইল ভাইরাস পরিচিতি ও সতর্কতা।
মোবাইল অ্যাপস ভাইরাসসাক্রান্ত হলে নিজে থেকে সেটিংস পরিবর্তন করে মোবাইল ফোনে আগত এসএমএস ও ইমেইল হ্যাকারের কাছে ফরোয়ার্ড করতে পারে।
এসএমএসে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য কিংবা অবাক করার মতো খবর দিয়ে কোনো লিংকে ক্লিক করতে উৎসাহিত করার নাম এসএমএস ফিশিং। সোশ্যাল মিডিয়াসহ বিভিন্ন অনলাইন অ্যাকাউন্ট হাতিয়ে নেয়াই এই ফিশিংয়ের মূল লক্ষ্য।
ফ্রি ওয়াইফাই পেলে কে না খুশি হয়? আর, এই সুযোগই কাজে লাগানোর জন্য ওঁত পেতে থাকে হ্যাকাররা! অতঃপর সংযুক্ত হলে মোবাইল ফোন থেকে হাতিয়ে নেয়া হয় যাবতীয় ফাইল।
অচেনা অদ্ভুত ধরণের নম্বর থেকে আসা মিসড কল ব্যাক করে উচ্চ হারে মোবাইল ব্যালেন্স হারানোর ঘটনাও এখন বেশ পুরনো। মূলত, বিশেষ নম্বর থেকে ওয়ান রিং স্ক্যামিং করে ফিরতি কল থেকে টাকা কেটে নেয়ার কৌশল এটি!
মাঝে মাঝে ব্রাউজিং করার সময় বিজ্ঞাপন দেখানো হয়। কৌতূহল কিংবা ভুলবশত সেসব বিজ্ঞাপনে ক্লিক করা হলে সাধারণত কিছু অ্যাপ ডাউনলোড হয়ে নিজে থেকেই ইনস্টলড হয়ে যায়। এসবের কিছু অ্যাপের কাজ হচ্ছে ব্যবহারকারীর টেক্সট বক্স অনুসরণ করা। এর ফলে ব্যবহারকারী বিভিন্ন ওয়েবসাইট ও অ্যাপে যেখানে যা টেক্সট বক্সে ইনপুট করুক না কেন সব সংগ্রহ করে হ্যাকারকে পাঠিয়ে দেয়।
স্মার্ট ফোন ছাড়া এখনকার সময়ে চলা একরকম যেহেতু অসম্ভব, তাই স্মার্ট ফোন ত্যাগ করে নয় বরং সাধারণ কিছু সতর্কতা অনুসরণের মাঝে ফোনকে হ্যাকপ্রুফ করে তুলতে হবে: