11
Jan, 2018

x5

অনেকেই বলে থাকেন- কম্পিউটার বা মোবাইল ফোনে অ্যান্টিভাইরাস থাকা মানেই তাতে রক্ষিত আপনার সকল ডাটা (ফাইল, ছবি, ভিডিও) নিরাপদ। কিন্তু, তা কখনোই নয়। অনেক সময় ডিভাইসে অ্যান্টিভাইরাসে ইনস্টলড থাকার পরেও ভাইরাস আক্রমণের শিকার হতে দেখা যায়। হাজারে একজন হলেও সেই একজন যে আপনি হবেন না, তা কোনোভাবেই নিশ্চয়তা দিয়ে বলা যায় না। পাশাপাশি আছে চুরি যাওয়ার ভয়, সিস্টেম ক্র্যাশ, মনের ভুলে ডিলিট করা ইত্যাদি। এসব ঝুঁকি এড়াতে তাই প্রয়োজনীয় ডাটা ব্যাকআপের কোনো বিকল্প নেই।

বহু বছর ধরেই ব্যাকআপের চল হলেও এই পর্বে আমরা আরেকবার মনে করিয়ে দিতে চাই ব্যাকআপের বিভিন্ন ধরণ ও মাধ্যমসমূহ:

এক্সটার্নাল ড্রাইভ

ব্যাকআপের জন্য এক্সটার্নাল ড্রাইভ (হার্ডডিস্ক, মেমোরি কার্ড, পেনড্রাইভ) সাশ্রয়ী ও বহুল প্রচলিত বলে জনপ্রিয়তম মাধ্যম।

সুবিধ: সাশ্রয়ী ও যেকোনো মুহূর্তে হাতের নাগালে পাওয়া যায়।

অসুবিধা: আগুন লাগলে বা চুরি গেলে ডাটা হারানোর ভয় থাকে।

সার্ভার

সাধারণত, প্রাতিষ্ঠানিক ডাটা সার্ভারে সংরক্ষিত করে রাখা হয়।

সুবিধ: চাইলেই ইন্টারনেটে যুক্ত হয়ে সব পাওয়া যায় বলে ড্রাইভ সাথে নিয়ে ঘুরতে হয় না।

অসুবিধা: অনেক বেশি ডাটা হলে আপ বা ডাউনলোড করা সময়সাপেক্ষ।

ক্লাউড স্টোরেজ

গুগল ড্রাইভ বা ওয়ান ড্রাইভ হচ্ছে ক্লাউড ঘরানার ব্যাকআপ মাধ্যম, ইদানিং এই মাধ্যমগুলো খুব জনপ্রিয়তা লাভ করছে।

সুবিধ: সাশ্রয়ী ও যেকোনো মুহূর্তে হাতের নাগালে পাওয়া যায় ও অটোসিংকড হয়।

অসুবিধা: ইন্টারনেট ডাটা খরচের হার তুলনামূলক বেড়ে যায় ও জটিল প্রকৃতির বিন্যাস।

তবে, যে পদ্ধতিই হোক না কেন নিজস্ব কিংবা প্রাতিষ্ঠানিক সব ডিভাইসেরই ডাটার ব্যাকআপ রাখা ও সপ্তাহ বা মাসান্তে নিয়মিত হালনাগাদ করা উচিত।

The Author

Abhijeet Guha

Abhijeet is an active blogger with decent experience in the IT Security industry. He researches on various topics related to cyber security and pens down his research in the form of articles & blogs. You can reach him at abhijeet@reveantivirus.com.
Abhijeet Guha
  Leave a Comment
Search for: