04
May, 2018

bp2

সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে কম-বেশি সবারই ব্যস্ততা বাড়ছে। ভিড় ঠেলে দোকানে গিয়ে গলদঘর্ম হয়ে পণ্য বা সেবা নেয়ার বদলে মানুষ এখন অনলাইন শপিংয়েই বেশি আগ্রহী। আরামে ঘরে বা অফিসে বসে পণ্য খুঁজে নেয়া থেকে শুরু করে ফ্রি ফোম ডেলিভারি এবং মাসিক কিস্তিসহ সশরীরে কেনাকাটার সব সুবিধাই একে একে যুক্ত হচ্ছে অনলাইন কেনাকাটায়। এত সুবিধার পরেও নতুন ও ইন্টারনেটভিত্তিক বলে নিরাপত্তাসহ বেশ কিছু প্রশ্ন থেকেই যায় অনেকের মনে। এসব প্রশ্নের উত্তর নিয়েই এই পরামর্শ ব্লগ।চলুন তবে দেখে নেই কী কী শর্তের বাস্তবায়ন হলেই কেবল অনলাইন শপিং নিরাপদ:

ওয়েবসাইটের বিশ্বস্ততা

প্রায় প্রতিদিনই চালু হচ্ছে কোনো না কোনো অনলাইন স্টোর। বাহারি নাম কিংবা নতুন ধরণের পণ্যের এসব সম্ভারের সব কয়টিই কি বিশ্বস্ত? অনলাইন শপিং-এর বিশ্বস্ততা যাচাইয়ের আরেকটি কৌশল হলো – কোনো যোগাযোগের ঠিকানা দেয়া আছে কি না বা যে ফোন নম্বরটি দেয়া আছে তা সঠিক কি না যাচাই করে দেখা। এক্ষেত্রে আরেকটি জরুরী বিষয় হচ্ছে কোনো সাইটে প্রবেশের সময় যদি আপনার ব্রাউজার থেকে আপত্তি দেখায় (সাধারণত ফিশিং সাইট ধরা পড়লে এমনটি হয়) তবে জোর করে বা ‘অন মাই রিস্ক’ প্রবেশ করবেন না।

কার্ডের স্টেটমেন্ট সংগ্রহে রাখুন

দোকান থেকে কেনাকাটার মতো অনলাইনেও কিছু কিনে কার্ডে দাম পরিশোধ করলে মোবাইলে এসএমএস আকারে স্টেটমেন্ট পাঠানো হয়। অনেকেই এটি সংরক্ষণ করেন না। অন্তত পরের বিল সাইকেল পর্যন্ত এটি সংগ্রহ করা উচিত। শুধু তাই নয়, নিয়মিত কেনাকাটার ক্ষেত্রে সপ্তাহ বা মাসের শেষে স্টেটমেন্টগুলো যাচাই করেও দেখা উচিত।

ডেবিট নয়, কেনাকাটায় ব্যবহার করুন ক্রেডিট কার্ড

অনলাইন কেনাকাটায় ডেবিটের বদলে ক্রেডিট ব্যবহার করা উচিত। এতে দাম পরিশোধ সংক্রান্ত কোনো ‘বিষয়’ বা ভুল বুঝাবুঝির অবকাশ হলেও তুলনামূলক সহজে সুরাহা করা যায়। এক্ষেত্রে অবশ্যই মনে রাখবেন- কোনো ওয়েবসাইটেই আপনার বিল প্রদান সংক্রান্ত তথ্য মনে রাখতে দেবেন না।

পাবলিক কম্পিউটার থেকে শপিং করবেন না

অনেকেই জরুরী প্রয়োজনে কিংবা শখের বশে সাইবার ক্যাফে বা অফিসের কম্পিউটার (যেখানে এক পিসিতে পরিচিত/অপরিচিত অনেকেই বসেন) থেকে অনলাইন শপিং করে থাকেন। এটা কখনোই করা উচিত নয়। এতে ইন্টারনেট স্ক্যামিং বা হ্যাকড হওয়ার ঝুঁকি থাকে। একান্তই নিজস্ব কম্পিউটার বা ইন্টারনেট সংযোগ না থাকলে প্রয়োজনে মোবাইল ফোন থেকে অর্ডার প্লেস করুন।

আপডেটেড রাখুন পিসির নিরাপত্তা প্রোগ্রাম

অনলাইন ট্রানজেকশনের জন্য পিসিতে প্রিমিয়াম অ্যান্টিভাইরাসের লাইসেন্সড ভার্সনের কোনো বিকল্প নেই। সেই সঙ্গে মনে রাখতে হবে যে আপনার পিসির নিরাপত্তা প্রোগ্রামটি যেন অবশ্যই আপডেটেড হয়।

কম্পিউটারের নিরাপত্তা সফটওয়্যার আপডেটেড না হলে অনলাইন শপিং করার ক্ষেত্রে যে কোনো সময় ভাইরাস, ওয়্যার্ম বা স্পাইওয়্যারের আক্রমণের শিকার হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এসবের আক্রমণ ঠেকাতে ও অনলাইনে যথাযথ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অ্যান্টিভাইরাস কোম্পানিসমূহ নিয়মিত ভিত্তিতে স্ব স্ব সফটওয়্যারের হালনাগাদ প্রকাশ করে। এসব হালনাগাদ ডাউনলোড ও ইনস্টল না করা থাকলে অনলাইনে কেনাকাটা শুধু অনিরাপদই নয়, হয়ে উঠতে পারে বিপদের কারণও।

ফ্রাই ডে/ফ্ল্যাশ সেল ফাঁদে পা দেবেন না

এধরণের অফার দিয়ে সাম্প্রতিক সময়ে একাধিক মানহীন ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান লোক ঠকাচ্ছে বলে বিশ্বস্ত না হলে এমন চটকদার বিজ্ঞাপনের ফাঁদে পা দেবেন না।

The Author

Abhijeet Guha

Abhijeet is an active blogger with decent experience in the IT Security industry. He researches on various topics related to cyber security and pens down his research in the form of articles & blogs. You can reach him at abhijeet@reveantivirus.com.
Abhijeet Guha
  Leave a Comment
Search for: