সাম্প্রতিক সময়ে ‘সাইবার নিরাপত্তা ঝুঁকি’ বিশ্বের অন্যতম প্রধান সমস্যা হলেও বাংলাদেশে ব্যাংক তথা আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো সবচেয়ে বেশি সাইবার নিরাপত্তা ঝুঁকিতে রয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ইন্সটিউিট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট। প্রতিষ্ঠানটির দেয়া তথ্য মতে, দেশের অর্ধেকের বেশি ব্যাংক সাইবার হামলার ঝুঁকিতে রয়েছে।
সরাসরি হামলার বাইরেও ব্যাংকিং খাতের তথ্য-প্রযুক্তির প্রসারকে কাজে লাগিয়ে নিত্যনতুন কৌশলে ডাকাতি করে অর্থ হাতিয়ে নিতেও সোচ্চার একটি চক্র। বৈশাখী নামে বেসরকারি একটি টেলিভিশন চ্যানেলের অনুসন্ধানে দেখা গেছে এসব চক্র রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালি, অগ্রণী, জনতা ব্যাংকসহ সেনা ওয়েবসাইটের মতো দেখতে হুবহু নকল ওয়েবসাইট তৈরি করে প্রতারণার ফাঁদ পাতে (ফিশিং)। এমন প্রতারণার শিকার অনেকেই। চাকরির জন্য সেখানে যোগাযোগ করে তারা নকল ওয়েবসাইটে দেয়া সংক্ষিপ্ত তালিকায় নিজের নাম দেখে সাক্ষাৎকার দেন, এমনকি নিয়োগপত্রও পান! লাখ লাখ টাকা দিয়ে এভাবে চাকরি নিশ্চিত করে যোগ দিতে গিয়ে দেখেন সবই ভুয়া।
অন্য এক গবেষণা বলছে, সাইবার অপরাধের মধ্যে ৫ দশমিক ৬৭ শতাংশ ক্রেডিট কার্ড ও এটিএম কার্ড জালায়াতি সংক্রান্ত এবং ৫ দশমিক ৫১ শতাংশ মোবাইল ব্যাংকিং প্রতারণাকেন্দ্রিক। ২০১৬ সালে বাংলাদেশ ব্যাংকে সর্ববৃহৎ সাইবার হামলার পর ২০১৭ সালের মার্চ মাসে সব অর্থিক প্রতিষ্ঠানে আন্তর্জাতিক মানের সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ১০টি নির্দেশনা তা শতভাগ নিশ্চিত হয়নি বলে জানা গেছে।
এমন পরিস্থিতিতে ব্যাংক কর্মকর্তা ও গ্রাহক – উভয়ের তথ্য-প্রযুক্তি ও সাইবার অপরাধ সম্পর্কে ধারণা প্রয়োজন বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।