কোথাও ঘুরতে যাওয়ার প্ল্যান করছেন? ট্রাভেলিং টিকেটসহ হোটেল বুকিং ইত্যাদি এখন কমবেশি সবাই অনলাইনেই কেটে নেন। কিন্তু, একটু সচেতনতার জন্য অনেকে আবার এসব ক্ষেত্রে প্রতারিতও হয়ে থাকেন। চলুন তবে দেখে নেই ট্যুরে যাওয়ার আগে অনলাইন বুকিং সতর্কতাসমূহ:
কোথায় যাচ্ছেন?
সাম্প্রতিক ঘোরাঘুরির বেশিরভাগ প্ল্যানিং তৈরি হচ্ছে ফেইসবুকে কোনো জায়গার ছবি দেখে ভালো লাগা থেকে! এর পাশাপাশি বিভিন্ন রিসোর্ট ও অ্যামিউজমেন্ট পার্কের স্পন্সর্ড অ্যাড তো আছেই। তাই, কেবল ছবি দেখেই হুট করে ডিসিশন না নিয়ে বরং কাঙ্ক্ষিত লোকেশনের একটু খোঁজখবর নেয়া ভালো। ফেইসবুকে যদি ঐ রিসোর্ট বা পার্কের পেজ থাকে (না থাকলেও প্লেস হিসাবে অবশ্যই থাকার কথা) তবে রিভিউ দেখে নিন। গুগলেও একই সেবা পাবেন, বোনাস হিসাবে ম্যাপের স্যাটেলাইট ভিউতে আগে থেকেই দেখে নিতে পারেন- আসলে কোথায় যাচ্ছেন!
টিকেট কাটার আগে
ডিসিশন যেহেতু ফাইনাল ট্রেন, বাস কিংবা প্লেন যাইহোক টিকেট তো কাটতেই হবে (বাংলাদেশ রেলওয়ের টিকেটও কিন্তু এখন অনলাইনে পাওয়া যায়, জাস্ট ফর ইনফো)। যে বাহনই পছন্দ হোক না কেন টিকেট কাটতে প্রথমে অবশ্যই সেই প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট খোঁজ করুন। কোনো কারণে সংশ্লিষ্ট কোম্পানির ওয়েবসাইট বা অনলাইন টিকেটিং না থাকলে যাত্রার আগে আগে গিয়ে টিকেট বুঝে নিয়ে টাকা পরিশোধ সাপেক্ষে ফোনে যোগাযোগ করে বুক করে নিতে পারেন। হোটেল বুকিংয়ের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। আর, তৃতীয় পক্ষীয় ওয়েবসাইট থেকে টিকেট কাটলে অবশ্যই ওয়েবসাইট সুরক্ষিত কি না নিশ্চিত হয়ে নিন (ওয়েবসাইটের নামের শুরুতে https:// থাকা আবশ্যক)। সম্ভব হলে ঝামেলা এড়াতে আসা-যাওয়ার টিকেট একসঙ্গেই কেটে ফেলুন।
পাশাপাশি, টিকেট কাটা ও অর্থ পরিশোধ ইত্যাদির জন্য ফ্রি ওয়াইফাই ব্যবহার না করে সিকিউরড কানেকশন ব্যবহার করুন এবং অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে ডিভাইসে অবশ্যই ভালো মানের ইন্টারনেট সিকিউরিটি ব্যবহার করুন।