অনলাইন গেমিং থেকে এখনকার বাচ্চাদের দূরে রাখা – একপ্রকার অসম্ভবই বলা চলে। কেউ কেউ অনলাইন গেমে বাচ্চাদের স্মরণশক্তি প্রখর হয় বলে মত প্রকাশ করলেও এর পেছনের কালো ছায়াগুলো অনেক বাবা-মায়েদেরই অজানা। যারা জানেন কিংবা জানেন না – সব বাবা-মায়েদের জন্যই প্রযোজ্য এমন কিছু সতর্কতা তুলে ধরা হলো এখানে।
কম-বেশি সব অনলাইন গেম এমনভাবে তৈরি যে এক পর্ব খেললে পরের পর্ব খেলতে ইচ্ছে করে। এভাবে বাড়তি স্ক্রিনিং টাইম থেকে অনলাইনের প্রতি এক ধরণের অ্যাডিকশন তৈরি হতে পারে।
সচেতনতা– এক্ষেত্রে সন্তানের অনলাইন আচরণ নজরদারির জন্য সার্ভেইলেন্স সুবিধা সম্বলিত ইন্টারনেট সিকিউরিটি ব্যবহার করতে পারেন। এতে সন্তান অনলাইনে কতক্ষণ সময় কাটাচ্ছে তা জানার পাশাপাশি ব্রাউজিং হেভিটও জানা যাবে।
অনলাইন গেমগুলিতে এক প্লেয়ার অন্য প্লেয়ারের সাথে চাইলে কথা বলতে তথা চ্যাটিং করতে পারে। এতে সাইবার বুলিংয়ের শিকার হওয়ার পাশাপাশি সম্ভাবনা থাকে অসৎ সঙ্গেরও।
সচেতনতা – এক্ষেত্রে অনলাইন গেম খেলতে দেয়ার আগে সন্তানকে এর কুফল বুঝিয়ে বলার পাশাপাশি গেম সেটিংস থেকে চ্যাট বন্ধ করে দেয়াই শ্রেয়।
এসব গেমে প্রায়শই অপশন থাকে ভার্চুয়াল অর্থে উইপনসসহ বিভিন্ন কেনাকাটার। এতে সম্ভাবনা থাকে কার্ড জালিয়াতি ও তথ্য বেহাত হওয়ার।
সচেতনতা- সন্তানকে গেমের জন্য কেনাকাটা থেকে নিরুৎসাহিত করে কেবল বিনোদনের জন্য খেলার পরামর্শ দেয়া যেতে পারে।
গেম তা অনলাইনে কিংবা অফলাইনে কেবল বিনোদনের একটি মাধ্যম। বড়রা তা বুঝলেও বাচ্চাদের কাছে কখনো কখনো তা প্রতিযোগিতামূলক হয়ে উঠতে পারে। এতে হারা-জেতা থেকে অবসাদ কিংবা বিষণ্ণতা তৈরি হতে পারে।
সচেতনতা– বাচ্চাদের সাথে বেশি বেশি সময় দেয়া এবং নিয়মিত ঘুরতে নিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি মাঠে কিংবা বাসায় সরাসরি খেলার প্রতি আগ্রহ তৈরি করে নিতে হবে।