চট করে খুলতে বা উটকো ঝামেলা এড়াতে মোবাইল ফোনে কোনো লক বা প্যাটার্ন ব্যবহার করেন না, এমন অনেকেই আছেন। কিন্তু, যদি ফোনটি হারিয়ে যায় বা বেহাত হয় – তখন? অন্যান্য অ্যাপ্লিকেশনের সঙ্গে একান্ত ও দাপ্তরিক যোগাযোগে হোয়াটস অ্যাপ বেশ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে বলে ভয়টা এখানেও! যেহেতু হোয়াটস অ্যাপে কোনো পাসওয়ার্ড লাগে না, তাই যে কেউ মোবাইল থেকে অ্যাপ্লিকেশনে ঢুকলেই আপনার সব চ্যাটিং ও কল লিস্ট দেখতে পাবেন বলে ভয়টা আরও বেশি। এতদিন এই সমস্যার কোনো সমাধান না থাকলেও হোয়াটসঅ্যাপ সম্প্রতি প্রত্যেক ব্যবহারকারীর চ্যাটিং হিস্টরির গোপনীয়তায় চালু করেছে টুএফএ। টুএফএ চালু করে রাখলে কোনো কারণে আপনার ফোন হারালে বা বেহাত হলেও অন্য কেউ আপনার অ্যাকাউন্টে প্রবেশ করতে পারবে না।
টুএফএ কী?
টুএফএ হচ্ছে টু ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন বা সেকেন্ড ফ্যাক্টর অব অথেনটিকেশন। টুএফএ অপশন চালু করার পর থেকে আপনার অ্যাপ্লিকেশনে প্রবেশ করার পর পর ছয় ডিজিটের একটি পাসওয়ার্ড (যা আপনি সেট করে দিবেন) দিতে না পারলে কোনো চ্যাট হিস্টরি দেখা যাবে না, বা হোয়াটসঅ্যাপ থেকে কাউকে কল করা যাবে না।
যেভাবে চালু করবেন হোয়াটসঅ্যাপ টুএফএ
আপনার হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্টে টুএফএ চালু করার জন্য মেনু থেকে সেটিংসে প্রবেশ করে অ্যাকাউন্ট-এ প্রবেশ করুন এবং টু স্টেপ ভেরিফিকেশন ‘এনাবল’ করে দিন। এবার, দেখানো ঘরে ছয় ডিজিটের পাসওয়ার্ড প্রবেশ করান এবং নেক্সট চেপে ওই ছয় ডিজিটের পাসওয়ার্ডটি পুনরায় নিশ্চিত করুন। এবার, একইভাবে একটি ব্যাকআপ ইমেইল সংরক্ষণ করে রাখুন যেন কোনো কারণে পাসওয়ার্ড ভুলে গেলে রিসেট করে নিতে পারেন।
টুএফএ ডিজ্যাবল করতে চাইলেও এই ইমেইলে লিঙ্ক পাঠিয়ে তা নিশ্চিত করা হবে বলে এই ইমেইল আইডিটি নিজের এবং নির্ভরযোগ্য হওয়া জরুরী।
টুএফএ কীভাবে কাজ করে?
প্রথমত, টুএফএ চালু করে রাখলে কোনো কারণে আপনার ফোন হারালে বা বেহাত হলেও অন্য কেউ আপনার অ্যাকাউন্টে প্রবেশ করতে পারবে না। এমনকি, আপনার সিম খুলে অন্য ডিভাইসে লাগিয়ে নতুন করে ইনস্টল করা হলেও টুএফএ ছাড়া হোয়াটসঅ্যাপ চালু করা যাবে না। সেক্ষেত্রে কেউ ভুল পাসওয়ার্ড দিয়ে চেষ্টা করলে সেক্ষেত্রে ওই অ্যাকাউন্ট সাতদিনের জন্য স্থগিত হয়ে যাবে। পরে সিম নতুন করে তুলে সাতদিন পর আবার রেজিস্ট্রেশন করলে বা ইমেইল থেকে রিভেরিফাই করে নিলে আবার সব চ্যাটিং হিস্টরি পাওয়া যাবে। ফলে, কোনো কারণে আপনার মোবাইল ফোন হারালে বা সিম বেহাত হলেও আর হোয়াটসআপ থেকে একান্ত কিছু আর অন্য কারো হাতে পড়ার ঝুঁকি থাকবে না।