সোশ্যালি ইঞ্জিনিয়ার্ড সাইবার থ্রেটস হচ্ছে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়াম ব্যবহার করে কারও তথ্য সংগ্রহ, নজরদারি কিংবা ডিভাইসের ক্ষতিসাধন করা। সাধারণত ইমেইল, ফেসবুক ও হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করে টার্গেট রিচ করা হয় বলে এসব ক্ষেত্রে সচেতনতা সবচাইতে বেশি জরুরী।
বিল/চালান/গোপন তথ্য যা বলেই পাঠানো হোক না কেন, অপরিচিত ইমেইল ঠিকানা থেকে আসা কোনো অ্যাটাচমেন্ট ফাইলে ক্লিক করা উচিত না। পরিচিত মানুষের কাছ থেকে মেইল পেলেও খোলার আগে সেন্ডার নেমের উপর মাউস নিয়ে গিয়ে দেখে নিন আপনি যাকে ভাবছেন আসলেই তিনি কি না?
গেমস, কত বছর বয়সে কেমন দেখাবে কিংবা কারা আপনার প্রোফাইল ভিজিট করেছে – এমন লিংকে ক্লিক করা থেকে বিরত থাকুন। এসব লিংক থেকে স্পাইওয়্যার ছড়ানোর পাশাপাশি অ্যাকাউন্টও হ্যাক হতে পারে।
কোনো একটি সাইটে প্রবেশ করলে বা কিছু একটা করার সময় হুট করে স্ক্রিনে বিজ্ঞাপন ভেসে আসে, এদের বলা হয় পপ-আপ। যত আকর্ষণীয়ই হোক না কেন এমন বিজ্ঞাপন এলে কোনো অবস্থাতেই ক্লিক করা উচিত নয়। এমনকি কেটে দেয়ার জন্য বিজ্ঞাপনে দেখানো ক্রস চিহ্ন বা ক্লোজ বাটনেও ক্লিক করার দরকার নেই (এতে অনেক সময় রিডিরেক্টেড হয়)। পরিবর্তে, পুরো উইন্ডোটি ক্লোজ করে রিওপেন করা উচিত।
স্পাইওয়্যার থেকে নিরাপদ থাকতে আপডেটেড থাকার কোনো বিকল্প নেই। মোবাইল ফোন কিংবা কম্পিউটার যেখানে যা অ্যাপ এবং সফটওয়্যার ব্যবহার করেন অবশ্যই আপডেটেড রাখুন। অনেকেই, সামান্য কিছু এমবি বাঁচাতে অটো-আপডেট বন্ধ করে রাখেন যা ডিভাইস ও নিজের নিরাপত্তা ক্ষতিগ্রস্ত করে।
আপনার ব্যবহৃত হোয়াটসঅ্যাপ নিরাপদ রাখতে কেবলমাত্র একটি ফোনেই আইডি ব্যবহার করুন। ওয়েব ভার্সন ব্যবহারকারী করে হলে মাঝে মাঝে লগআউট ফ্রম অল ডিভাইসেস করে রিফ্রেশ করে নিন। পাশাপাশি, আপনার যাবতীয় চ্যাটিং নিরাপদ রাখতে টুএফএ ও এন্ড টু এন্ড এনক্রিপশন চালু করে রাখুন।