বাসা কিংবা অফিস যেখানেই হোক না কেন – হালকা কাজে ব্যবহৃত কম্পিউটারের নিরাপত্তায় অ্যান্টিভাইরাসের কোনো বিকল্প নেই। কিন্তু বাজারের অজস্র নামের সহস্র ব্র্যান্ড থেকে কীভাবে বুঝবেন কোনটি আপনার কম্পিউটারের জন্য সবচাইতে পারফেক্ট অ্যান্টিভাইরাস?
এমন যদি হয় যে আপনি কম্পিউটারে নিয়মিত ইন্টারনেট ব্যবহার করেন, তবে অ্যান্টিভাইরাস আসলে আপনার পিসির জন্য যথেষ্ট না – আপনার চাই ভালো মানের ইন্টারনেট সিকিউরিটি। আবার, যারা কম্পিউটারে খুব ভারী কাজ করেন তাঁদের জন্য টোটাল সিকিউরিটি। আপনাকে সবার আগে এই পার্থক্যটুকু বুঝতে হবে। বাসা কিংবা অফিসের যে কম্পিউটারে সচরাচর অফলাইনে কাজ করা যেমন হিসাব-নিকাশ, পড়াশোনা বা মুভি দেখা ইত্যাদি হালকা কাজ করা হয় – তার জন্য অ্যান্টিভাইরাস।
প্রচলিত অ্যান্টিভাইরাস ব্যবহারকারীদের সবচেয়ে বড় সমস্যা – অ্যান্টিভাইরাস ইনস্টল করলে পিসি স্লো হয়ে যায়। সাধারণত, একটি সফটওয়্যার কম্পিউটারে কতটুকু জায়গা নেয়, তার উপর নির্ভর করে এটি কম্পিউটার স্লো করবে কি না। তাই, অ্যান্টিভাইরাস কেনার আগে অবশ্যই দোকানদারের কাছ থেকে জেনে নিন কোন ব্র্যান্ডের অ্যান্টিভাইরাস পিসিতে কতটুকু জায়গা দখল করে?
অ্যান্টিভাইরাস লাগবে বলে বাজারে গিয়ে যেকোনো একটা কিনে নিয়ে চলে এলেন – তা না করে নিজে প্যাকেটের গায়ের লেখা ভালো করে পড়ে দেখুন। যে অ্যান্টিভাইরাস কিনতে যাচ্ছেন তা ইউএসবি প্রটেকশন দেয় তো? কিংবা, চাইলে পৃথকভাবে আপডেট ডাউনলোড করে ইনস্টল করে নেয়া যায় কি না – ইত্যাদি যাচাই করে নিতে ভুলবেন না।
যেকোনো পণ্য কিনতে গেলে মূল্য বেশ বড় একটা ফ্যাক্টর। কিন্তু তাই বলে রাস্তার পাশের দোকান থেকে পানির দামে অ্যান্টিভাইরাস না কিনে মার্কেট ভিজিট করে মোটামুটি দামের ভালো পণ্য কিনে নেয়াটা ভালো হবে।
অ্যান্টিভাইরাস কেনার আগে ফ্রি ট্রায়াল পাওয়া গেলে সবচেয়ে বেশি ভালো। এতে, কেনার আগেই সুবিধা-অসুবিধা সবকিছু যাচাই করে নেয়া যায়।
কম্পিউটার-মোবাইল ফোন ইত্যাদি সার্বক্ষণিক ডিভাইস বলে যেকোনো সময় কারিগরি সমস্যা দেখা দেয়া খুব স্বাভাবিক। কিন্তু, সেসময় যদি প্রয়োজনীয় গ্রাহকসেবাই না পান, তাহলে কী লাভ পয়সা খরচ করে অ্যান্টিভাইরাস ব্যবহার করে! তাই, যে ব্র্যান্ডের অ্যান্টিভাইরাসই পছন্দ করেন না কেন কেনার আগে দোকানদারের কাছ থেকে অবশ্যই সাপোর্টের কথা জেনে নেবেন।