বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ‘সাইবার সিকিউরিটি ইনস্যুরেন্স’ শব্দযুগল অপরিচিত হলেও উন্নত বিশ্বে এর প্রচলন বেশ ক’বছর। কেবল যুক্তরাষ্ট্রেই ২০১৬ সালে সাইবার সিকিউরিটি ইনস্যুরেন্স বাবদ ব্যয় হয়েছে ২৫০ কোটি ডলারের বেশি (সূত্র: দৈনিক সমকাল)! সাম্প্রতিক একের পর এক সাইবার হামলা ও র্যানসমওয়্যার অ্যাটাকের জের ধরে বলা চলে ডাটা নিরাপত্তা এখন বাংলাদেশী কম্পিউটার ব্যবহারকারীদের জন্যও অত্যন্ত উদ্বেগের বিষয়। এক্ষেত্রে সাইবার সিকিউরিটি ইনস্যুরেন্স প্রচলিত হলে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারবে।
অন্যান্য বীমা’র মতো এটিও একটি ক্ষতিপূরণ সেবা। চুক্তি অনুযায়ী সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান ব্যক্তি বিশেষ বা প্রতিষ্ঠানের কম্পিউটারের নিরাপত্তার বিষয়টি দেখভাল করে থাকে। কোনো কারণে সাইবার হামলায় যদি চুক্তিবদ্ধ ব্যবহারকারীর কম্পিউটারের ডাটা ক্ষতিগ্রস্ত হয় বা হারিয়ে যায় তবে সাইবার সিকিউরিটি ইনস্যুরেন্স প্রতিষ্ঠান তার ক্ষতিপূরণ দিতে বাধ্য থাকে।
বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত সাইবার সিকিউরিটি ইনস্যুরেন্স সেবাদানকারী কোনো প্রতিষ্ঠান না থাকলেও সম্প্রতি বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে প্রাতিষ্ঠানিক সাইবার সিকিউরিটি নিশ্চিতকরণে এজেন্সি গঠনের ঘোষণা দেয়া হয়েছে। বিটিআরসি, এনটিএমসি ও আইসিটি বিভাগের অধীনস্থ বিডি সার্ট এর সমন্বয়ে এই ‘সাইবার সিকিউরিটি এজেন্সি’ গঠনের কাজ চলছে বলে স্থানীয় টেলিভিশন চ্যানেল সময়-কে জানিয়েছেন টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম।
তিনি আরও জানান, এই সাইবার সিকিউরিটি এজেন্সি সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের অধীনে কাজ করবে। বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের অডিট টিম-এর নেতৃত্বে অডিটের ভিত্তিতে সাইবার সিকিউরিটি এজেন্সি ঝুঁকি চিহ্নিত করে দেশীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে।