22
Mar, 2017

cyber security exploit

আপডেট মানে শুধু শুধু এমবি নষ্ট – এমন যুক্তি শুনে অনেকেই কম্পিউটার এবং মোবাইল ফোনের অটো-আপডেট বন্ধ করে রাখেন। আর, মূলত এই সুযোগেই হ্যাকাররা আপনার ডিভাইস তথা আপনাকে বাগে পায়! নিত্য ব্যবহৃত অ্যাপগুলি আরও বেশি কার্যকর ও গ্রাহকোপযোগী করে তুলতে সংশ্লিষ্ট নির্মাতা বা প্রতিষ্ঠানসমূহ ক্রম এদের উন্নত সংস্করণ নিয়ে আসে। নতুন সংস্করণ চলে এলে স্বাভাবিকভাবেই আগের সংস্করণসমূহের সাপোর্ট সেবা বন্ধ করে দেয়া হয়। ফলে, আগে থেকে এতে কোনো ত্রুটি থাকলে কিংবা কোনো হ্যাকার এটিকে আক্রমণ করলে তা আর প্রতিহত করা যায় না। এই ধরণের ভালনারেবেল সফটওয়্যার ডিভাইসে ভাইরাস সংক্রমণসহ ব্যবহারকারীর তথ্য পাচার করে বলে সাবধানতা একান্ত আবশ্যক।

হ্যাকার যেভাবে কাজে লাগায়

জীবনযাত্রা সহজ করতেই কম্পিউটার ও মোবাইল ফোনের বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশনের উদ্ভব; ফলে ব্যবহারকারীরাও প্রত্যাশা করেন সব সময় যাবতীয় অ্যাপ্লিকেশনের নিখুঁত পারফরমেন্স। কিন্তু অনেক সময়ই তা আর হয়ে উঠে না বিভিন্ন কারণে, এর জেরে দেখা যায় কখনো কখনো সফটওয়্যার চালু হয় না বা চলতে চলতে বন্ধ হয়ে যায় তথা ক্র্যাশ করে। আপাতদৃষ্টিতে, খুব বড় কিছু মনে না হলেও এবং পড়ে আবার চালু করে তা ব্যবহার করা গেলেও হ্যাকারদের জন্য এটি অনেক বড় একটি সুযোগ। সাইবার দুর্বৃত্তরা সাধারণত এই সুযোগে আপনার ব্যবহৃত সফটওয়্যারের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়। এভাবে কোনো ভালনারেবিলিটি প্রকাশিত হওয়ামাত্র (অ্যাপ প্রোভাইডার কর্তৃক কোনো সল্যুশন আসার আগেই) আক্রমণকেই বলা হয় জিরো-ডে অ্যাটাক! অপারেটিং সিস্টেম ছাড়াও অন্যান্য যেসব অ্যাপ্লিকেশন এই জাতীয় টার্গেটে পরিণত হয়, ওয়েব ব্রাউজার, মিডিয়া প্লেয়ার, ওয়েব প্লাগিনস ইত্যাদি সেসবের মাঝে অগ্রগণ্য।

এক্ষেত্রে মজার একটি প্রশ্ন সামনে চলে আসে- হ্যাকাররা আসলে কীভাবে জানতে পারে আমার কোনো একটি অ্যাপ ভালনারেবিলিটির শিকার? উত্তরটা খুব সিম্পল – ফিশিং! হ্যাকাররা মেইলে আপনার পরিচিত কেউ বা খুব নামীদামী কোনো প্রতিষ্ঠান যেমন ব্যাংক বা টেলিকম ইত্যাদি সেজে মেইল করে। আর মেইলে থাকা লিংকে ক্লিক করামাত্র আপনার অজান্তেই ওই কম্পিউটার বা মোবাইল ফোনে ক্ষতিকর প্রোগ্রাম লোড হয়ে যায়। হ্যাকাররা এসব প্রোগ্রামের সাহায্যেই টার্গেটের ইউজেস মনিটর করে।

হ্যাকারদের আক্রমণ ঠেকাতে

সফটওয়্যার ভালনারেবিলিটি প্রতিহত করার দায়িত্ব মূলত সংশ্লিষ্ট সফটওয়্যার নির্মাতার হলেও ভালনারেবিলিটির সুযোগে হ্যাকাররা যেন আপনার কম্পিউটার বা মোবাইলের নিয়ন্ত্রণ না নিতে পারে, তাই আপনাকে সচেতন থাকতে হবে সর্বাগ্রে-

  • ফিশিং কী – জেনে নিন এখনই!
  • মেইল খোলার আগে অবশ্যই সেন্ডারের নাম যাচাই করুন।
    (সেন্ডারের নামের উপর মাউস নিলেই আসল নাম যাচাই করা যাবে)
  • অপরিচিত আইডি থেকে পাঠানো মেইলের অ্যাটাচমেন্ট/লিঙ্ক ক্লিক না করাই ভালো।
  • অবশ্যই কঠিন এবং সহজে অনুমান করা যায় না এমন পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুন।
  • কম্পিউটার ও মোবাইল ফোনের অটো-আপডেট সবসময় চালু রাখুন।
  • নিত্য ব্যবহার্য অ্যাপ অবশ্যই আপডেটেড রাখুন।

The Author

Abhijeet Guha

Abhijeet is an active blogger with decent experience in the IT Security industry. He researches on various topics related to cyber security and pens down his research in the form of articles & blogs. You can reach him at abhijeet@reveantivirus.com.
Abhijeet Guha
  Leave a Comment
Search for: