হ্যাকার যেহেতু ভিনগ্রহের প্রাণী নয়, তাই আপনার সঙ্গে একই রেস্টুরেন্টে বসে তাদেরই কেউ ফ্রি ওয়াইফাই ব্যবহার করাটা অস্বাভাবিক কিছু নয়! আর এই সুযোগে হ্যাকার চাইলে একই ওয়াইফাইয়ের অধীনে থাকা যেকোনো ল্যাপটপ বা মোবাইল ফোনে থাকা তথ্য ও ছবি সংগ্রহ করে নিতে পারেন। তাই, ল্যাপটপ কিংবা মোবাইল ফোন – ওয়াইফাই ব্যবহার করে যেখান থেকে ব্রাউজ করেন না কেন কিছু সাধারণ সতর্কতা মেনে চলা উচিত:
ফায়ারওয়াল হচ্ছে ডিভাইসের প্রাথমিক নিরাপত্তাবেষ্টনী। উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমচালিত কম্পিউটারের কন্ট্রোল প্যানেলে প্রবেশ করলে উইন্ডোজ ফায়ারওয়াল অপশন পাওয়া যাবে। এখানে ‘টার্ন উইন্ডোজ ফায়ারওয়াল অন ওর অফ’ অপশন থেকে পাবলিক নেটওয়ার্কের জন্য ফায়ারওয়াল চালু করে দেয়া যাবে।
অনেক ল্যাপটপ ও মোবাইল ফোনে ‘কানেক্ট অটোম্যাটিকালি হোয়েন পাবলিক নেটওয়ার্ক ইজ অ্যাভেইলেবেল’ অপশন চালু করা থাকে। এটি ল্যাপটপ বা মোবাইল ফোনের নিরাপত্তার জন্য ক্ষতিকর। প্রয়োজন ছাড়া ওয়াইফাই অবশ্যই ‘অফ’ করে রাখুন।
যেকোনো ওয়েবসাইটে প্রবেশ করেই প্রথমে দেখে নিতে হবে ঠিকানার শুরুতে এইচটিটিপিএস আছে কি না। এটি না থাকলে সেই সাইটে যা কিছুই করবেন বা লিখবেন চাইলে কেউ বাইরে থেকে তা দেখতে বা জানতে পারবেন।
ফ্রি ওয়াইফাই পেলেই সংযুক্ত হওয়ার আগে একবার অবশ্যই ওই ক্যাফে বা প্রতিষ্ঠানে জিজ্ঞেস করে যাচাই করে নিন – সত্যিই তারা সেখানে ওয়াইফাই সেবা দিচ্ছেন কি না? হ্যাকাররা অনেক সময়েই নামীদামী প্রতিষ্ঠানের নামে ফ্রি ওয়াইফাই চালু রেখে মানুষদের ফাঁদে ফেলে, তাই ওয়াইফাইয়ের নিরাপত্তা যাচাই করে নেয়া একান্ত আবশ্যক।
কম্পিউটার বা মোবাইল ফোন থেকে ইন্টারনেট ব্রাউজ করলে অবশ্যই সেই পিসি বা ফোনে অ্যান্টিভাইরাস থাকা আবশ্যক। তাই বলে ফ্রি অ্যান্টিভাইরাস ব্যবহার করে বাড়তি বিপদ না ডেকে বাজার থেকে দেখে-শুনে যাচাই করে ভালো মানের যেকোনো অ্যান্টিভাইরাস ও মোবাইল সিকিউরিটির লাইসেন্সড ভার্সন ব্যবহার করা উচিত।