06
Sep, 2018

online hacking

বাংলাদেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর প্রায় ৮০ শতাংশই মোবাইল ইন্টারনেট ইউজার। কেবলমাত্র দেশেই নয়, বৈশ্বিকভাবেও কম্পিউটারে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর তুলনায় মোবাইল ফোনে ব্যবহারকারীর হার অনেক বেশি। ফলে স্বাভাবিকভাবেই মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীদের টার্গেট করে তৈরি করা ও ছড়ানো ভাইরাসের হারও বেশি।

মোবাইল ভাইরাসের মূল লক্ষ্য ব্যবহারকারীর তথ্য ও স্মার্ট ফোনে সংরক্ষিত ফাইল সংগ্রহ করা। পাশাপাশি, মোবাইল ফোন থেকে কেনাকাটা ও ট্রানজেকশন করা হলে ব্যাংকিং তথ্য হাতিয়ে নেয়ার জন্যও হ্যাকাররা অধীর হয়ে থাকে।

জনসচেতনতার জন্য আমাদের এবারের পোস্টে থাকছে এমন পাঁচটি মোবাইল ভাইরাস পরিচিতি ও সতর্কতা।

ম্যালিশিয়াস অ্যাপস

মোবাইল অ্যাপস ভাইরাসসাক্রান্ত হলে নিজে থেকে সেটিংস পরিবর্তন করে মোবাইল ফোনে আগত এসএমএস ও ইমেইল হ্যাকারের কাছে ফরোয়ার্ড করতে পারে।

এসএমএস ফিশিং

এসএমএসে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য কিংবা অবাক করার মতো খবর দিয়ে কোনো লিংকে ক্লিক করতে উৎসাহিত করার নাম এসএমএস ফিশিং। সোশ্যাল মিডিয়াসহ বিভিন্ন অনলাইন অ্যাকাউন্ট হাতিয়ে নেয়াই এই ফিশিংয়ের মূল লক্ষ্য।

Advanced Mobile Security

ফেইক ফ্রি ওয়াইফাই

ফ্রি ওয়াইফাই পেলে কে না খুশি হয়? আর, এই সুযোগই কাজে লাগানোর জন্য ওঁত পেতে থাকে হ্যাকাররা! অতঃপর সংযুক্ত হলে মোবাইল ফোন থেকে হাতিয়ে নেয়া হয় যাবতীয় ফাইল।

ওয়ান রিং স্ক্যাম

অচেনা অদ্ভুত ধরণের নম্বর থেকে আসা মিসড কল ব্যাক করে উচ্চ হারে মোবাইল ব্যালেন্স হারানোর ঘটনাও এখন বেশ পুরনো। মূলত, বিশেষ নম্বর থেকে ওয়ান রিং স্ক্যামিং করে ফিরতি কল থেকে টাকা কেটে নেয়ার কৌশল এটি!

কী-লগার

মাঝে মাঝে ব্রাউজিং করার সময় বিজ্ঞাপন দেখানো হয়। কৌতূহল কিংবা ভুলবশত সেসব বিজ্ঞাপনে ক্লিক করা হলে সাধারণত কিছু অ্যাপ ডাউনলোড হয়ে নিজে থেকেই ইনস্টলড হয়ে যায়। এসবের কিছু অ্যাপের কাজ হচ্ছে ব্যবহারকারীর টেক্সট বক্স অনুসরণ করা। এর ফলে ব্যবহারকারী বিভিন্ন ওয়েবসাইট ও অ্যাপে যেখানে যা টেক্সট বক্সে ইনপুট করুক না কেন সব সংগ্রহ করে হ্যাকারকে পাঠিয়ে দেয়।

হ্যাকপ্রুফ স্মার্ট ফোনের জন্য করণীয়

স্মার্ট ফোন ছাড়া এখনকার সময়ে চলা একরকম যেহেতু অসম্ভব, তাই স্মার্ট ফোন ত্যাগ করে নয় বরং সাধারণ কিছু সতর্কতা অনুসরণের মাঝে ফোনকে হ্যাকপ্রুফ করে তুলতে হবে:

  • মাঝে মাঝে অন্তত ফোনের অ্যাপ সেটিংস যাচাই করা – এতে ফোনে অজ্ঞাতে কোনো অ্যাপ ইনস্টলড হলে জানা ও ডিলিট করা যাবে।
  • প্রাইভেসি সেটিংস থেকে কোন কোন অ্যাপস কোন কোন পারমিশন নিয়ে রেখেছে তা যাচাই করে দেখা।
  • মোবাইল ফোন যার যার একান্ত জিনিস, তাই পরিচিতি কিংবা অপরিচিত কারো হাতেই ফোন না দেয়া ভালো। একান্ত কথা বলার জন্য দিতে হলেও কল সংযুক্ত করে লক করে দিন ও কথাশেষে তাৎক্ষণিক তা আবার ফেরত নিন।
  • ফোনের লক ও অ্যাকাউন্টের জন্য অননুমেয় কোড ও পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুন।
  • ফ্রি ওয়াইফাই ব্যবহারের প্রবণতা পরিহার করুন, দরকারের সময় ছাড়া ওয়াইফাই বন্ধ রাখুন।
  • লক স্ক্রিনে সেন্সেটিভ নোটিফিকেশন অফ করে রাখুন।
  • নিয়মিত সফটওয়্যার ও অ্যাপস আপডেট করুন।
  • ভালো মানের মোবাইল সিকিউরিটির লাইসেন্সড ভার্সন ব্যবহার করুন।

The Author

Abhijeet Guha

Abhijeet is an active blogger with decent experience in the IT Security industry. He researches on various topics related to cyber security and pens down his research in the form of articles & blogs. You can reach him at abhijeet@reveantivirus.com.
Abhijeet Guha
  Leave a Comment
Search for: