উৎকর্ষের সঙ্গে অনলাইন দুনিয়ায় প্রতিদিন যোগ হচ্ছে নতুন নতুন সাইবার থ্রেট। এসব থ্রেট এড়াতে ও প্রতিহত করতেও চাই নতুন প্রযুক্তি। প্রচলিত সাইবার নিরাপত্তা প্রোগ্রামসমূহ কেবল চেনা ভাইরাস শনাক্ত ও প্রতিহত করতে সক্ষম হলেও রিভ অ্যান্টিভাইরাস সর্বাধুনিক মেশিন লার্নিং প্রযুক্তিতে জিরো ডে অ্যাটাকস এবং যেকোনো নতুন ভাইরাস শনাক্ত ও প্রতিহত করতে পারে।
আগেই বলা হয়েছে- সনাতনী পদ্ধতির অ্যান্টিভাইরাসসমূহ সিগনেচার অ্যানালাইসিস পদ্ধতিতে কাজ করে। কম্পিউটার বা স্মার্টফোনে ইনস্টলডকৃত সফটওয়্যার/অ্যাপের ক্ষেত্রে এরা বিহেভিয়ার অর্থাৎ কোন পরিস্থিতিতে কী ধরণের আচরণ করছে – তা লক্ষ্য করে ও ইতোপূর্বে আক্রান্ত অবস্থায় কী ধরণের আচরণ করেছে তার সঙ্গে মিলিয়ে দেখে। একই কার্যপদ্ধতি ডাউনলোড করে ফাইলের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। কাজের জন্য এই প্রক্রিয়ার ধরণ ঠিক থাকলেও সমস্যা এই যে- এতে কোন কোন আচরণ ‘ক্ষতিকর’ আর কোন কোন আচরণ নয় তা ম্যানুয়ালি অর্থাৎ কোনো না কোনো মানুষকে লিপিবদ্ধ করে দিতে হয়।
এতে, কোনো ভাইরাস বা ম্যালওয়্যারের আচরণ আপনার/আমার মতো কোনো মানুষ ডাটাবেজে সেভ না করে দিলে যতই ক্ষতিকর হোক না কেন সে কোনো প্রোগ্রামকেই বাধা দেয় না। ফলে, নতুন আসা ভাইরাসসমূহের জন্য প্রচলিত অ্যান্টিভাইরাসের নজর এড়িয়ে এক্সিকিউটেড হওয়া কোনো বিষয়ই না! মূলত, এই কারণেই সাম্প্রতিক র্যানসমওয়্যারসমূহের দিনগুলোতে প্রচলিত অ্যান্টিভাইরাস ভাইরাসের কাছে হার মানে। ফলশ্রুতিতে, পৃথিবীজুড়ে আক্রান্ত হয় লক্ষ লক্ষ ডিভাইস ও কর্পোরেট নেটওয়ার্ক।
সহজ কথায় দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতিসমূহ যে প্রযুক্তিতে নিজে থেকে শিখতে শুরু করে ও প্রতিকূল পরিস্থিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে। সময়ের প্রয়োজনে রিভ অ্যান্টিভাইরাসের ভাইরাস ইঞ্জিনকে একই পদ্ধতিতে স্বয়ংক্রিয় করে তৈরি করা হয়েছে। এর ফলে রিভ অ্যান্টিভাইরাস অপ্রচলিত এমনকি নতুন যেকোনো ভাইরাস শনাক্ত ও তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিতে পারে।
প্রচলিত সাইবার নিরাপত্তা প্রোগ্রামসমূহ কেবল চেনা ভাইরাস শনাক্ত ও প্রতিহত করতে সক্ষম হলেও রিভ অ্যান্টিভাইরাস সর্বাধুনিক মেশিন লার্নিং প্রযুক্তিতে জিরো ডে অ্যাটাকস এবং যেকোনো নতুন ভাইরাস শনাক্ত ও প্রতিহত করতে পারে।