ফেসবুক বন্ধের সুবাদে অনেকেই ভিপিএন শব্দটির সাথে পরিচিত! কিন্তু এটি কী, আর কেনই বা ব্যবহার করা লাগে এবং উপকারিতা বা অপকারিতা কী কী – তেমন একটা প্রচলিত নয়।
তাই, আমাদের এবারের পোস্ট ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক নিয়ে।
ভিপিএন কী?
এক ধরণের টানেল যা নিরাপদে ইন্টারনেট ব্যবহার নিশ্চিত করে। ভিপিএন ইনস্টলকৃত ডিভাইস ও ইন্টারনেটের মাঝে যোগাযোগ ব্যবস্থা সুরক্ষিত রাখতে এই টানেল ব্যবহৃত হয়। বাইরে থেকে এই টানেল দিয়ে আদান-প্রদানকৃত তথ্য সংগ্রহ করা যায় না বলে এর ব্যবহার একদিকে যেমন নিরাপদ তেমনি অনেকে নিজের অবস্থান আড়াল রাখতে এবং নিষিদ্ধ ওয়েবসাইট অ্যাকসেস পেতে এটি ব্যবহার করে থাকেন।
কেউ ঘরে বসে নিজের পিসি বা মোবাইলে ব্রাউজ করলেও ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান যেমন মোবাইল কোম্পানি বা আইএসপি চাইলেই আপনি কী করছেন না করছেন – তা জানতে বা দেখতে পারেন। এছাড়াও, একই পদ্ধতি অবলম্বনে হ্যাকাররাও টার্গেটের উপর নজর রাখে। ফলে, একদিকে যেমন ব্যাংকিংসহ অনলাইনে প্রবেশকৃত তথ্যাদি বেহাত হওয়ায় ঝুঁকি থাকে, তেমনি ব্যক্তি বিশেষের প্রাইভেসিও এতে নষ্ট হতে পারে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ব্যতীত অন্য যেকোনো তৃতীয় পক্ষের থেকে এমন ঝুঁকি থাকলে ভিপিএন ব্যবহার করতে পারেন। এতে ডাটা যেমন এনক্রিপ্টেড অবস্থায় আদান-প্রদান হয়, তেমনি গোপন থাকে ব্যবহারকারীর অবস্থানও! তবে, এক্ষেত্রে অবশ্যই মনে রাখতে হবে যে বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশন তথা বিটিআরসি’র নীতিমালা অনুযায়ী কেবল সরকারি ও কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্টরাই ভিপিএন ব্যবহার করতে পারবেন।
সুবিধা-অসুবিধা আলোচনার সঙ্গেই চলে আসে কোন অ্যাপ ব্যবহার করবেন – এই প্রসঙ্গ। তাঁদের জন্য প্রথমত জানিয়ে রাখা – বাংলাদেশে ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক ব্যবহার অবৈধ না হলেও সরকারি কিংবা কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান ব্যতীত অন্য কেউ ব্যক্তিগত প্রয়োজনে এর ব্যবহার আইনের পরিপন্থী। তাই প্রাতিষ্ঠানিকভাবে ব্যবহারের ক্ষেত্রে অবশ্যই সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিতের দায়িত্বে নিয়োজিত প্রতিষ্ঠানের পরামর্শ নিন। আর, ব্যাংকিং বা অন্য কোনো একান্ত ডাটা আদান-প্রদানের জন্য হলে স্ব স্ব অ্যাপ স্টোর (অ্যান্ড্রয়েডের জন্য গুগল প্লে স্টোর, অ্যাপল ডিভাইসের জন্য আই টিউনস স্টোর ও উইন্ডোজ ডিভাইসের জন্য উইন্ডোজ স্টোর) থেকে রিভিউ ও রেটিং দেখে ভালো মানের ভিপিএন অ্যাপ ব্যবহার করা যেতে পারে।