প্রযুক্তির আলোয় উদ্ভাসিত ইন্টারনেটভিত্তিক যোগাযোগ ব্যবস্থায় প্রদীপের নিচের অন্ধকার- অনলাইন হ্যাকিং ইন্ডাস্ট্রি! সময়ের সাথে হ্যাকাররাও এখন ক্রিয়েটিভ, ক্ষুদ্র কিংবা বৃহৎ ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের যোগাযোগ ব্যবস্থায় ফোঁকর মিললে সঙ্গে সঙ্গে আক্রমণ না করে তারা বরং নজর রাখে। লক্ষ্য- দীর্ঘমেয়াদী ফায়দা খুঁজে নেয়া!
স্ট্যাটিসটিকা’র হিসাবে ২০১৩ সাল থেকে এখন পর্যন্ত হ্যাকারদের হাতিয়ে নেয়া প্রাতিষ্ঠানিক ফাইলের সংখ্যা ১৩৪৪,৩১,৪৯,৬২৩ টি, এবং এই সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়ছে। তাই ক্ষুদ্র থেকে বৃহৎ ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের পলিসি তৈরি থেকে শুরু করে সচেতন হতে হবে সাধারণ কর্মী কী কাজে ইন্টারনেট কনজিউম করছে সে বিষয়েও।
ডাটা ব্রিচিং হয় মূলত অসচেতনভাবে লিংক ও অ্যাটাচমেন্টে ক্লিক করা, ইনসিকিউর অনলাইন প্ল্যাটফর্মে স্পর্শকাতর ডাটা আদান-প্রদান ইত্যাদি থেকে। এ থেকে নিরাপদ থাকার প্রথম ধাপ পলিসি লেভেলেই নিরাপত্তা ও গোপনীয়তার বিষয়ে জোর দেয়া। জয়েনের পরপরই নতুন সহকর্মীদের যেখানে-সেখানে ক্লিক করা থেকে বিরত থাকতে অনুরোধ করার পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ ডাটার গোপনীয়তা কীভাবে রক্ষা করতে হবে তাও জানিয়ে দেয়া উচিত।
হ্যাকিং কিংবা যেকোনো দুর্ঘটনায় ডাটা বা ফাইল মিসিং হলেও যেন কাজ থেমে না থাকে কিংবা র্যানসমওয়্যারের শিকার হলে টাকা দিয়ে ফাইল যেন ফেরত না আনতে হয় সেজন্য কর্মীদের ব্যাকআপের প্রয়োজনীয়তা বুঝিয়ে বলুন ও সপ্তাহ বা মাসান্তে হালনাগাদ করার অভ্যাস তৈরি করান।
বৃহৎ প্রতিষ্ঠানে এমন প্রবণতা দেখা না গেলেও ক্ষুদ্র ও মাঝারি প্রতিষ্ঠানে প্রায়ই দেখা যায় অল্প বেতনে সাময়িক সময়ের জন্য কর্মী নিয়োগ দেয়া হয়। এদের অসচেতনতার সুযোগেও ঘটতে পারে সাইবার হামলার ঘটনা। তাই, কর্মী নেয়ার আগে দেখেশুনে যাচাই করে নিন এবং নেয়ার পরপর যাবতীয় সাইবার অ্যাকসেস না দিয়ে কিছুদিন স্ক্রিন টেস্ট করে নেয়া ভালো হবে।
অ্যাডমিন ক্রেডেনশিয়াল, যেমন ডোমেইন আইডি, পাসওয়ার্ড ইত্যাদি কেবল দায়িত্বপ্রাপ্তরাই যেন পায় – লক্ষ্য রাখুন।
অ্যাকাউন্টস – যেসবের পাসওয়ার্ড দীর্ঘসময় পরিবর্তন করা হয় না, অবশ্যই পরিবর্তন করে নিন। কর্মীদেরও অননুমেয় শক্তিশালী (কমপক্ষে আট ডিজিটের) পাসওয়ার্ড সেট করতে পরামর্শ দিন। একই পাসওয়ার্ড একাধিক আইডিতে ব্যবহার না করাই ভালো।
সামান্য কিছু মেগাবাইট বাঁচাতে অনেকেই উইন্ডোজ তথা অপারেটিং সিস্টেমের অটো-আপডেট ফিচার বন্ধ রাখে। এটা কখনই করা উচিত না। নিরাপদ থাকতে অবশ্যই উইন্ডোজ কিংবা অ্যান্ড্রয়েড ভার্সনসহ যাবতীয় সফটওয়্যারের আপডেটেড ভার্সন ব্যবহার করা উচিত।
অফিস নেটওয়ার্কের সামগ্রিক নিরাপত্তায় এন্ডপয়েন্ট সিকিউরিটির কোনো বিকল্প নেই। এতে নেটওয়ার্কের কোনো ডিভাইস থেকে অনিরাপদ ওয়েবসাইট ব্রাউজ করামাত্র নোটিফিকেশনসহ প্রাতিষ্ঠানিক সকল ডিভাইসের সুরক্ষা ও কর্মীদের ব্যবহার মনিটর নিশ্চিত করা যায়।
মাল্টিলেয়ার্ড প্রটেকশন দেয় বলে এন্ডপয়েন্ট সিকিউরিটি ইনস্টলে প্রতিষ্ঠানসমূহ সুরক্ষিত থাকে সব ধরণের ভাইরাস, ম্যালওয়্যার ও জিরো ডে অ্যাটাক থেকে।