সদ্য প্রকাশিত ২০১৬ সালের অনুসন্ধান প্রতিবেদন অনুযায়ী, কেবলমাত্র পাসওয়ার্ডের নিরাপত্তার অভাবেই ৬৩% অ্যাকাউন্ট ‘হ্যাকড’ হয়। যেকোনো আইডি ও অনলাইন তথ্য নিরাপদ রাখার প্রথম শর্ত – শক্তিশালী ও নিরাপদ পাসওয়ার্ড ব্যবহার। পাসওয়ার্ড নিরাপত্তায় এখানে আলোচনা করা হলো বেশ কিছু পরামর্শ:১. পাসওয়ার্ড হোক নিজের মতো
ওয়ান টু থ্রি ফোর ফাইভ সিক্স অথবা নিজের নাম ও জন্মতারিখ – এধরণের সহজ ও বহুল ব্যবহৃত পাসওয়ার্ড দেয়া থেকে বিরত থাকুন। নিজের মতো করে এমন পাসওয়ার্ড সেট করুন যেন কেউ অনুমানও না করতে পারে।
২. পাসওয়ার্ড ম্যানেজার ব্যবহার করুন
পাসওয়ার্ড নিরাপত্তায় কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে পাসওয়ার্ড ম্যানেজার। কম্পিউটার ও মোবাইল ফোন – সব ধরণের ডিভাইসে ব্যবহার উপযোগী এই অ্যাপ ব্যবহারে বারবার পাসওয়ার্ড টাইপ করতে হয় না। এছাড়াও, এটি সাহায্য করে সহজ কিন্তু অন্যদের জন্য অনুমান করা অসম্ভব এমন পাসওয়ার্ড সেট করতে। শুধু তাই নয়, নির্ধারিত সময়শেষে এটি আপনাকে পাসওয়ার্ড বদলাতেও মনে করিয়ে দেবে।
৩. ভুলেও পাসওয়ার্ড কাউকে বলবেন/দেখাবেন না
যতই কাছের মানুষ হোক না কেন, ভুল করেও কোনো পাসওয়ার্ড কখনোই কাউকে বলা বা দেখানো উচিত নয়। আজ সম্পর্ক ভালো হলেও কাল কোনো কারণে তা খারাপ হলে কিংবা ওই ব্যক্তির অসেচতনতায় এটি যেকোনো সময় আপনার জন্য হুমকির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
৪. নির্ধারিত সময় পর পর পাসওয়ার্ড বদলান
অনলাইনে নিরাপদ থাকার সবচেয়ে ভালো উপায় একটি নির্ধারিত সময় পর পর পাসওয়ার্ড বদলে ফেলা। মনে রাখতে হবে নতুন পাসওয়ার্ডটি যেন কোনোভাবেই আগেরটির সাথে মিলে না যায় বা ক্রমিকও না হয় (যেমন: আগের পাসওয়ার্ড jackpot ছিল তো এবার দিলেন jackpot2 – এমনটা কখনোই করবেন না)।
৫. পাসওয়ার্ড হোক অন্তত ৮ অক্ষরের
পাসওয়ার্ডের নিরাপত্তায় এর আকার একটি অন্যতম রিস্ক ফ্যাক্টর। যতটুকু সম্ভব বড় (অন্তত আট অক্ষরের) পাসওয়ার্ড সেট করুন।
৬. পাসওয়ার্ড হবে বর্ণ, সংখ্যা ও চিহ্ন মিলিয়ে
একটি আদর্শ পাসওয়ার্ডে বর্ণ, সংখ্যা ও চিহ্ন – সবকিছুরই সমন্বয় থাকতে হবে। ডিকশনারিতে নেই এমন শব্দ নিয়ে বড় ও ছোট হাতের অক্ষরে ভেঙে তার সঙ্গে সংখ্যা ও চিহ্ন মিলিয়ে এমনভাবে সাজান যেন কেউ কোনোভাবেই অনুমান না করতে পারে। পাসওয়ার্ড কোথাও আলাদা করে লিখে বা সে’ভ করে রাখবেন না।
৭. টুএফএ ব্যবহার
পাসওয়ার্ডের নিরাপত্তায় সর্বাধুনিক প্রযুক্তি টুএফএ। এখন কম-বেশি সব সাইটই টুএফএ তথা টু ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন সাপোর্ট করে – এটি ব্যবহারে কোনো আইডির জন্য পাসওয়ার্ড দেয়ার পর স্বনির্ধারিত মোবাইল বা অ্যাপে একটি তাৎক্ষণিক কোড আসবে। এই কোডটি পুনরায় পাসওয়ার্ড হিসেবে ব্যবহার করেই কেবল লগইন করা যাবে। এতে কেউ আপনার পাসওয়ার্ড কোনোভাবে জেনে গেলেও তা হ্যাক করতে পারবে না।