একান্ত তথ্যের গোপনীয়তা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রতিবছর ২৮ জানুয়ারি ‘আন্তর্জাতিক তথ্য গোপনীয়তা দিবস’ হিসাবে পালিত হয়ে থাকে। একান্ত তথ্য নিরাপদে রাখতে চলুন তবে দেখে নেই কিছু কার্যকর কৌশল:
কিছুটা কঠিন শোনালেও ডাটা এনক্রিপ্ট করা খুবই সহজ। তবে, তার আগে বলে নেই কম্পিউটার বা মোবাইল ফোনে রক্ষিত ডাটা এনক্রিপ্টেড অবস্থায় থাকলে ডিভাইস কোনোভাবে বেহাত হলেও একান্ত তথ্য, ছবি ইত্যাদি অন্য কারো দেখার কোনো সুযোগ থাকে না। মোবাইল ফোনে সেটিংস থেকে এবং উইন্ডোজ চালিত কম্পিউটারে কন্ট্রোল প্যানেল থেকে বিটলকার দিয়ে এনক্রিপশন চালু করে দেয়া গেলেও অ্যাপল কম্পিউটারে ডাটা এনক্রিপ্ট করার জন্য ফাইলভল্ট জাতীয় সফটওয়্যার ব্যবহার করা লাগে।
বেশি কিংবা কম – তথ্য যেমনই গুরুত্বপূর্ণ হোক না কেন, ব্যাকআপ রাখতে ভুলবেন না কখনোই। নয়তো কোনো সময় মোবাইল রিসেট দেয়া লাগলে বা কম্পিউটার ক্র্যাশ করলে কিংবা ম্যালওয়্যার অ্যাটাক করলে পুরানো ডাটা আর খুঁজে পাবেন না। তাই অনলাইন এবং অফলাইন উভয় মাধ্যমেই ডাটার ব্যাকআপ রাখুন। অনলাইনে ডাটার ব্যাকআপ রাখতে ড্রপবক্স, গুগল ড্রাইভ, ওয়ান ড্রাইভ কিংবা অন্য যেকোনো ক্লাউড ড্রাইভে বাছাই করা ডাটাগুলোর ব্যাকআপ রাখুন এবং এক্সটার্নাল হার্ড ডিস্ক ড্রাইভে কম্পিউটার ও মোবাইলের সকল তথ্য, ছবি ইত্যাদির ব্যাকআপ রাখুন। অফিস বা প্রাতিষ্ঠানিক কাজের কম্পিউটারের ডাটা সপ্তাহে অন্তত একবার এবং বাসায় ব্যবহৃত কম্পিউটার হলে মাসে অন্তত একবার ব্যাকআপ হালনাগাদ করুন।
শুনতে যেমনই লাগুক না কেন, আপনার যদি একটি কম্পিউটার বা মোবাইল ফোন থাকে, আর তাতে আপনি যদি ইন্টারনেট ব্যবহার করে থাকেন – তবে অবশ্যই অ্যান্টিভাইরাস ব্যবহার করতে হবে। তবে, তাই বলে ভুলেও ফ্রি অ্যান্টিভাইরাস ব্যবহার করবেন না, এতে লাভের চেয়ে ক্ষতির পরিমাণই বেশি! বাজার থেকে দেখে-শুনে যেকোনো প্রিমিয়াম অ্যান্টিভাইরাসের লাইসেন্সড ভার্সন ব্যবহার করুন।
কাজে লাগুক আর নাই লাগুক মোবাইল বা কম্পিউটারে কোনো সফটওয়্যার বা অ্যাপ্লিকেশন ইনস্টলড থাকলে তা নিয়মিত আপডেটেড রাখতে ভুলবেন না। এছাড়াও, অনেকেই সামান্য কিছু এমবি বাঁচাতে অটোম্যাটিক উইন্ডোজ আপডেট বন্ধ করে রাখেন যা একেবারেই অনুচিত।
অনেকেই পাসওয়ার্ড কোথাও লিখে রাখেন, এতে আইডি হ্যাক হওয়ার ঝুঁকি অনেক বেড়ে যায়। তাই, কোনো অ্যাকাউন্তে নতুন পাসওয়ার্ড সেট করে তা কোথাও লিখে রাখার চাইতে মুখস্ত করে রেখে দেয়াই ভালো।
আমরা সাধারণত কোনো অ্যাপ ইনস্টল করার সময় কেবল ডাউনলোড করে নেক্সট চেপে যাই, কখনোই তা কী করতে পারবে, না পারবে – তা পড়ে দেখি না। এখন থেকে অন্তত মাঝে মাঝে অ্যাপ সেটিংসে গিয়ে অ্যাপ্লিকেশনওয়াইজ প্রাইভেসি সেটিংস যাচাই করে দেখবেন। এতে কোন অ্যাপ কী কী ডাটা দেখার ও ব্যবহারের অনুমতি পাচ্ছে তার পাশাপাশি অবাঞ্ছিত কোনো অ্যাপ থাকলে তাও চোখে পড়বে।
অনেকেই জানিনা মোবাইল বা কম্পিউটার কেবল ব্লুটুথ ব্যবহার করেও আনলক করা যায়, আর ডাটা আদান-প্রদান তো আছেই! তাই, বিনা দরকারে অবশ্যই আপনার কম্পিউটার কিংবা মোবাইল ফোনের ব্লুটুথ বন্ধ রাখুন।
কোনো কারণে কম্পিউটারের সামনে থেকে উঠে যাওয়ার সময় অবশ্যই লক করে যাওয়ার পাশাপাশি মোবাইল ফোনে অটোম্যাটিক লক চালু করে রাখুন। এতে আপনার ডীভাইস কোনোভাবে চুরি হলে বা হারিয়ে গেলেও তাতে রক্ষিত তথ্য অন্য কারো হাতে পড়ার ঝুঁকি কম থাকে।