হ্যাকিং এখন নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা; ব্যাংকিং তথ্য থেকে শুরু করে সোশ্যাল মিডিয়ার পাসওয়ার্ড প্রতি দিনই আসে কোনো না কোনো হ্যাকিংয়ের খবর। দুর্বৃত্তদের জন্য আলাদা আলাদা ইউজার অ্যাকাউন্ট হ্যাক করার চাইতে সহজ হচ্ছে ওয়েবসাইট হ্যাকিং করা। এতে একসাথে যেমন অনেক ব্যবহারকারীর তথ্য পাওয়া যায়, তেমনি প্রাতিষ্ঠানিকও সব ধরণের তথ্যও একসাথে পাওয়া যায়। মজার বিষয় – এসব চোখের আড়ালে রাখতে হ্যাকারদেরই কেউ কেউ আবার বিভিন্ন মাধ্যমে অনেক রকম কথা ছড়িয়ে দেন!
তেমনি কিছু প্রোপাগান্ডা নিয়েই এবারের পোস্ট:
আইবিএম-এর জরিপ অনুসারে ফি বছর হ্যাকড হওয়া ওয়েবসাইটের ৬২% ছোট ও মাঝারি আকারের প্রতিষ্ঠানের। বড় আকারের প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট সাধারণত অনেক বেশি সুরক্ষিত থাকে বলে ছোট ও মাঝারি আকারের প্রতিষ্ঠানসমূহই হ্যাকারদের প্রধান টার্গেট। আর তাই, ওয়েবসাইটের উপর থেকে নজরদারি সরাতেই হ্যাকাররা এই প্রোপাগান্ডা ছড়িয়ে থাকে।
মোবাইল ফোনে ভাইরাস আক্রমণ করে না – বহুল প্রচলিত কথা হলেও তা পুরোপুরি মিথ্যা ও প্রোপাগান্ডা। সাইবার রিস্কের হিসাবমতে এখন পর্যন্ত সাড়ে চার লক্ষ অ্যান্ড্রয়েড ও ৭০ হাজার আইওএস ভাইরাস পাওয়া গেছে। প্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইটের ডাটা আপডেট বা দেখার ক্ষেত্রে মোবাইল ফোনের ব্যবহার তাই সবচেয়ে বেশি মারাত্মক!
অনলাইন অ্যাকাউন্টে পাসওয়ার্ড দেয়া থাকলেই তা নিরাপদ – বিশ্বাস করা বোকামি। পাসওয়ার্ড নয়, বরং শক্তিশালী ও অননুমেয় পাসওয়ার্ড কেবল এই নিরাপত্তা দিতে পারে। পাসওয়ার্ড সেট করার সময় অবশ্যই ছোট ও বড় হাতের অক্ষর, অংক ও চিহ্ন দিয়ে সাজাতে হবে। পাশাপাশি, পাসওয়ার্ডে কোনো অবস্থাতেই নিজের বা পরিচিত কারও নাম, জন্মতারিখ, মোবাইল নম্বর বা ডিকশনারিতে আছে এমন কোনো শব্দ ব্যবহার করা যাবে না।
অ্যান্টিভাইরাস থাকা মানে আপনি অনেকখানি নিরাপদ। কিন্তু, এটা কখনোই শতকরা ১০০ ভাগ নিরাপত্তা নিশ্চিত করে না। হাজারে একজন হলেও মাঝে মাঝে অ্যান্টিভাইরাস থাকার পরেও হ্যাকিংয়ের শিকার হন – সেই একজন যে আপনি না তা কোনোভাবেই বলা যায় না। তাই, অবশ্যই প্রয়োজনীয় ডাটার ব্যাকআপ রাখা উচিত ও মাসের বা সপ্তাহের শেষদিন তা হালনাগাদ করে নেয়া উচিত।
কর্মীরা খারাপ চাইবে না সত্যি, কিন্তু তারপরেও দুর্ঘটনা ঘটতে কতক্ষণ! নিউজওয়্যারের হিসাবে ৯০% প্রাতিষ্ঠানিক সাইবার হামলার কারন ইনহাউজ কর্মীদের অসতর্কতা। তাই, প্রাতিষ্ঠানিক নিরাপত্তায় সবার আগে সচেতন করে তুলতে হবে প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের এবং তাঁদের লগইনের বাড়তি নিরাপত্তায় অবশ্যই টুএফএ ব্যবহার করা উচিত।