বড় বড় প্রতিষ্ঠানের কম্পিউটার ও ডাটার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সার্ভার সিকিউরিটি এবং দক্ষ লোকবল তো থাকেই, কিন্তু ক্ষুদ্র ও মাঝারি প্রতিষ্ঠানে? ব্যবসা বা কাজের ক্ষেত্র ছোট কিংবা বড় যেমনই হোক না কেন ডাটার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা প্রয়োজন সর্বত্রই। এক্ষেত্রে একটু সচেতন ও কৌশলী হলেই ক্ষুদ্র ও মাঝারি প্রতিষ্ঠানের সাইবার নিরাপত্তা খাতের ব্যয় অনেকাংশেই কমানো সম্ভব। চলুন তবে দেখে নেই ক্ষুদ্র ও মাঝারি প্রতিষ্ঠানের ডাটা নিরাপত্তায় প্রয়োজনীয় সচেতনতাসমূহ:
ক্ষুদ্র কিংবা মাঝারি – যেকোনো প্রতিষ্ঠানের সাইবার নিরাপত্তার জন্য সবার আগে প্রয়োজন কর্মী সচেতনতা। তাই, বছরে অন্তত একবার নতুন-পুরানো সহকর্মীদের অংশগ্রহণে আয়োজন করুন সাইবার সিকিউরিটি ট্রেনিং।
বিশেষ দিন/বৈরি আবহাওয়া কিংবা কাজের চাপ যা হোক না কেন, সপ্তাহের শেষ দিন ছুটির আগে আগে যার যার পিসি’র ফাইল ব্যাকআপ করা বাধ্যতামূলক করে দিন! সহকর্মীর সংখ্যা ও কাজের চাপ অনুযায়ী এক বা একাধিক এক্সটার্নাল হার্ড ডিস্ক ক্রয় করে নিন। শুরুতে খরচ বেশি হচ্ছে মনে হলেও চূড়ান্ত সময়ে এটি আপনাকে অনেক বিপদ থেকে রক্ষা করবে।
অনেক সময় এমবি বাঁচাতে ও ইন্টারনেটের স্পিড ধরে রাখতে বিভিন্ন অফিসেই উইন্ডোজের অটো-আপডেট বন্ধ রাখা হয়। এটি যেকোনো সময় ভয়াবহ বিপদ ডেকে আনতে পারে। আপনার কাজের নিরবিচ্ছিন্নতা ধরে রাখার জন্যই আপনার অপারেটিং সিস্টেম ও নিত্য ব্যবহৃত সব সফটওয়্যার নিয়মিত আপডেটেড রাখুন।
স্টার্টআপের সংখ্যার সঙ্গে বাড়ছে লোকবলের অভাব। আবার কখনো কখনো শোনা যায় এক প্রতিষ্ঠানের লোক অন্য প্রতিষ্ঠানে অনুপ্রবেশ করে তথ্য ও কর্মপদ্ধতি জানার আশায়। তাই, নতুন লোক নেয়ার সময় একটু সচেতন হোন, সোশ্যাল মিডিয়ার এই যুগে ফেসবুক প্রোফাইল থেকেও পেয়ে যাবেন যে কারো খুঁটিনাটি।
ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসার নথি, অনলাইনে অ্যাডমিন ক্রেডেনশিয়াল ইত্যাদির বিষয়ে থাকতে হবে সর্বোচ্চ সতর্ক। অ্যাডমিন আইডির অ্যাকসেস যেন নির্ধারিত ব্যক্তির বাইরে না যায় তার বিষয়েও সচেতন থাকা আবশ্যক।
ক্ষুদ্র ও মাঝারি প্রতিষ্ঠান হিসাবে সব কম্পিউটারের জন্য অ্যান্টিভাইরাস ব্যবহার করা সম্ভব না হলেও গুরুত্বপূর্ণ পিসিসমূহ যেমন সার্ভার কম্পিউটার, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কম্পিউটার বা ল্যাপটপ, অ্যাডমিন ও অ্যাকাউন্টসের কম্পিউটারে অন্তত অ্যান্টিভাইরাস ব্যবহার করুন। তবে, এক্ষেত্রে ফ্রি অ্যান্টিভাইরাস ব্যবহার না করে লাইসেন্সড অ্যান্টিভাইরাস ব্যবহার করা শ্রেয়।