কাস্টমার ডাটা সিকিউরিটি যেভাবে নিশ্চিত করবেন

কাস্টমার ডাটা সিকিউরিটি তথা ব্যবহারকারীর তথ্য নিরাপত্তা সাম্প্রতিক সময়ের সবচাইতে আলোচিত বিষয়। গ্রাহক ডাটা হারানো কেবল আর্থিক ক্ষতিই নয় বরং প্রতিষ্ঠানের প্রতি মানুষের মুখ ফিরিয়ে নেয়াসহ আইনি ঝুঁকিও ডেকে আনে। আর, মানুষ এখন আগের চাইতে সচেতন বলে ঝুঁকি আছে বলে ধারণা থাকলেও যেকোনো প্রতিষ্ঠান, সেবা ও অ্যাপ কিংবা ওয়েবসাইট এড়িয়ে চলতে পিছপা হয় না। তাই, কাস্টমার ডাটা সিকিউরিটি নিশ্চিতে সচেতন থাকতে হবে শুরু থেকেই। 

সাইবার সিকিউরিটি পলিসি প্রণয়ন

ছোট কিংবা বড় – প্রতিষ্ঠান যেমনই হোক না কেন, থাকা চাই নিজস্ব সাইবার সিকিউরিটি পলিসি। কেবল থাকাই নয়, তার নিয়মিত হালনাগাদ করাও সমান জরুরী। সচেতন থাকতে হবে পলিসিতে সবকিছু যথাযথভাবে সংজ্ঞায়িত ও সে অনুযায়ী বাস্তবায়ন করা হচ্ছে কি না – তা নিয়েও।

সাইবার নিরাপত্তা বাস্তবায়নে চাই সবাইকে

কেবল প্রতিষ্ঠানের আইটি বিশেষজ্ঞ নয়, সাইবার সিকিউরিটি পলিসি বাস্তবায়নে সঙ্গে নিতে হবে সবাইকেই। প্রতিষ্ঠানের সকল কর্মী ও সম্পৃক্ত তৃতীয় পক্ষকেও এই বিষয়ে সচেতন করে তুলতে হবে। মনে রাখতে হবে ডাটা ব্রিচিং সাধারণত হয়ে থাকে সবচেয়ে অবহেলিত কর্মীর অজ্ঞানতার সুযোগেই!

নিয়মিত নিরাপত্তা ব্যবস্থাও হতে হবে শক্তিশালী

ভেবে দেখুন তো কেমন হবে- যথাযথ সাইবার নিরাপত্তা থাকার পরেও যদি কেউ আপনার প্রতিষ্ঠানে প্রবেশ করে কোনো একটি কম্পিউটারের হার্ড ডিস্ক খুলে নিয়ে চলে যায়! তাই, সাইবার নিরাপত্তার পাশাপাশি নিয়মিত নিরাপত্তা ব্যবস্থাও শক্তিশালী হতে হবে।

এন্ডপয়েন্ট সিকিউরিটি সংযুক্তি

প্রাতিষ্ঠানিক কম্পিউটার ও ডাটার নিরাপত্তায় এন্ডপয়েন্ট সিকিউরিটি ব্যবহার করুন। এটি আনওয়ান্টেড অ্যাটাকস ও আনঅথরাইজড অ্যাকসেস প্রতিহত করে। এছাড়াও, এন্ডপয়েন্ট সিকিউরিটির সাহায্যে নেটওয়ার্কে সংযুক্ত যাবতীয় কম্পিউটার নজরদারি ও নিয়ন্ত্রণ করা যায়।

আপডেট ও প্যাচ সফটওয়্যার

সামান্য কিছু মেগাবাইট বাঁচাতে অনেক প্রতিষ্ঠানই কম্পিউটারের অটো-আপডেট ফিচার বন্ধ রাখতে উৎসাহিত করে। শুধু তাই নয়, অনেক সময় গড়িমসি করে সফটওয়্যারের আপডেট, প্যাচ ইত্যাদিও ইগনোর করে। এসবের পাশাপাশি পাইরেটেড সফটওয়্যার ব্যবহার করাও হ্যাকারদের জন্য সুযোগ তৈরি করে দেয়।

জানুন- ডাটা অ্যাকসেস কার দরকার, কেন দরকার

কাস্টমার ডাটা নিশ্চয়ই প্রতিষ্ঠানের সবার দরকার হওয়ার কথা না! যাচাই করে দেখুন এই অ্যাকসেস কার কার আছে, আর কেনইবা তাঁদের তা প্রয়োজন।

স্বচ্ছ থাকুন সেবা গ্রহীতাদের কাছে

কোন কোন প্রয়োজনে আপনার সেবা গ্রহীতাদের তথ্য প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজন, আর কী কী তথ্য সাধারণত নেয়ার প্রয়োজন হতে পারে – নিজে থেকেই গ্রাহকদের তা জানিয়ে দিন। এটি অ্যাপের শুরুতে কিংবা ওয়েবসাইটের প্রথম পাতায় প্রাইভেসি পলিসিতে উল্লেখ করে রাখতে পারেন।

তৈরি রাখুন প্ল্যান বি

র‍্যানসমওয়্যার অ্যাটাক বা কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে যেন মাথায় হাত দিতে না হয় সেজন্য সতর্ক থাকুন আগে থেকেই। ডাটার ব্যাকআপ রাখুন ও তা নিয়মিত হালনাগাদ করুন।