22
May, 2017

pc optimization

ডেস্ক কিংবা ল্যাপটপ – কম্পিউটার যে ধরণের হোক না কেন, আমাদের প্রত্যাশা থাকে পারফরমেন্স যেন সবসময় থাকে নতুনের মতো! কিন্তু, বাস্তবতা হচ্ছে কিছুদিনের মাঝেই পিসি আর আগের মতো ‘ফাস্ট’ থাকে না। অন/অফ, ফাইল এবং ফোল্ডার খোলা ও বন্ধ হওয়াসহ ব্রাউজিং সবকিছুতেই প্রয়োজনের তুলনায় অনেক বেশি সময় নিতে শুরু করে শখের কম্পিউটার। একসময় অধৈর্য হয়ে মেকানিকের কাছে গিয়ে বাড়তি র‍্যাম যোগ করা বা বাজার থেকে উইন্ডোজের সিডি কিনে এনে আবার অপারেটিং সিস্টেম ইনস্টল করে কিছুদিন শান্তিতে থাকলেও মাস ঘুরাতে না ঘুরাতেই আবার সেই একই সমস্যা। কিন্তু, আপনি চাইলে মেকানিকের কাছে না গিয়ে বা উইন্ডোজ রিইনস্টল না করেও ঘরে বসেই ছোটখাটো কিছু ‘কুইকফিক্স’ করে পিসিকে সবসময় নতুনের মতো ফাস্ট রাখতে পারেন।

এ তো গেল স্লো পিসি ফাস্ট করার উপায়, কিন্তু কম্পিউটার যেন আবার স্লো না হয়ে যায় সেজন্য আরও কিছু করণীয় আছে, যা এখানে তুলে ধরা হলো:

দরকারি/অদরকারি সফটওয়্যার বাছাই

অদরকারি সফটওয়্যার দিয়ে পিসি’র মেমোরি ফুল করলে কম্পিউটার স্লো হবেই, তাই নিয়মিত কাজে লাগে না এমন সফটওয়্যার কম্পিউটারে ইনস্টল না করা উচিত। সাধারণত, দোকান থেকে নতুন ডেস্কটপ বা ল্যাপটপ কিনে আনার সময় বেশকিছু সফটওয়্যার প্রি-ইনস্টলড করে দেয়া হয়। এছাড়াও, অনেকেই বন্ধুর কম্পিউটার বা হাতের কাছে সফটওয়্যারের সিডি পেলে সেখান থেকে কিছু সফটওয়্যার এনে নিজের কম্পিউটারে সেট করে নেয় – যা একেবারেই অনুচিত। নিজের সংগ্রহে রাখতে চাইলে ইনস্টল না করেও কোনো একটি ড্রাইভে তা কপি করে রাখা যায়। পরে কখনো দরকার হলে সেখান থেকে নিয়ে ইনস্টল করে ব্যবহার করা যাবে। এছাড়াও, অনেকের কম্পিউটারে একই কাজের বা ধরণের সফটওয়্যার একাধিক করে থাকে, যেমন ইন্টারনেট ব্রাউজ করার জন্য ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার, মজিলা এবং ক্রোম আবার ছবি এডিট করার জন্য ফটোশপ আছে, আবার পিকাসাও ইনস্টলড করা; কেউ কেউ এমনকি একই কম্পিউটারে দুটি বা তিনটি অ্যান্টিভাইরাস পর্যন্ত ব্যবহার করেন! এটি কম্পিউটার স্লো হওয়ার পেছনের সবচেয়ে বড় কারণ। একটি কাজের জন্য কম্পিউটারে একটি সফটওয়্যার ব্যবহার করুন, বাড়তি কাজের জন্য অন্য কোনো অ্যাপ্লিকেশন লাগলে দরকারের সময় ইনস্টল করে ব্যবহার করুন ও কাজশেষে তা আবার আনইনস্টল করে ফেলুন।

ছবি, মুভি বা ফাইল সংরক্ষণের জায়গা কম্পিউটার না

শুনে অন্যরকম মনে হলেও এটাই সত্যি যে অফিসের কম্পিউটার বা নিত্য ব্যবহার্য কাজের কম্পিউটার অতীতের ছবি, এইচডি মুভি বা পারিবারিক হিসাব-নিকাশের ফাইল সংরক্ষণের জায়গা না! এসবের জন্য আলাদা তথা পোর্টেবল ইউএসবি হার্ডডিস্ক ব্যবহার করুন।

স্টার্টআপ অপটিমাইজেশন করে অপ্রয়োজনীয় অ্যাপ ডিজেবল

স্টার্টআপ হচ্ছে একটি কম্পিউটার চালু হওয়ার সময় কী কী সফটওয়্যার নিজে থেকে চালু হয়ে যাবে – তা নির্দিষ্ট করে দেয়া। প্রায় সব কম্পিউটারেই অধিকাংশ সফটওয়্যার পিসি স্টার্ট হওয়ার সময় চালু হয় বলে অন/অফ টাইম অনেক বেশি লাগে। এমন যদি হয় আপনার কম্পিউটারে বিজয় এবং অভ্র দুটোই আছে এবং কম্পিউটার চালু হওয়ার সময় একই সঙ্গে দুটোই চালু হয়ে যায় – সেক্ষেত্রে এখান থেকে যেকোনো একটির অটো-স্টার্ট চালু রেখে অন্যটি ডিজেবল করে দিতে পারেন। আপনার কম্পিউটারের কোন কোন সফটওয়্যার অটো-স্টার্ট নেয় তা দেখতে এবং অপ্রয়োজনীয় সফটওয়্যারের স্টার্টআপ ডিজেবল করে দিতে কী-বোর্ড থেকে Ctrl+R চেপে msconfig লিখে Enter চাপুন। এবার Startup সিলেক্ট করে অপ্রয়োজনীয় সফটওয়্যার ডিজেবল করে দিন।

পিসি টিউন-আপ আছে এমন অ্যান্টিভাইরাস ব্যবহার করুন

কম্পিউটারের টুকটাক ফিক্সিংসহ সবসময় নতুনের মতো পারফরমেন্স পেতে অবশ্যই পিসি টিউন-আপ সুবিধা আছে এমন অ্যান্টিভাইরাস ব্যবহার করা উচিত। অনলাইনে বিভিন্ন ফ্রি টিউন-আপ পাওয়া গেলেও এসবের কোনটিই সম্পূর্ণ টিউন-আপ সুবিধা দেয় না বলে তা দিয়ে স্ক্যানিং করা উল্টো ক্ষতির কারণ ডেকে আনতে পারে। ভাইরাস বা ম্যালওয়্যার থেকে সুরক্ষার পাশাপাশি কম্পিউটারের উন্নত পারফরমেন্স পেতে বাজার থেকে দেখে-শুনে, যাচাই করে ভালো মানের কোনো অ্যান্টিভাইরাসের লাইসেন্সড ভার্সন ব্যবহার করা উচিত।

এছাড়াও, স্লো পিসি সংক্রান্ত যেকোনো সমস্যায় পরামর্শ সহায়তা পেতে দিন/রাত ২৪ ঘণ্টা কল করতে পারেন 01844079181 নম্বরে অথবা www.reveantivirus.com ভিজিট করে লাইভ চ্যাটে রিভ অ্যান্টিভাইরাসের অভিজ্ঞ সাপোর্ট ইঞ্জিনিয়ারদের সহায়তা নিতে পারেন যেকোনো সময়।

The Author

Abhijeet Guha

Abhijeet is an active blogger with decent experience in the IT Security industry. He researches on various topics related to cyber security and pens down his research in the form of articles & blogs. You can reach him at abhijeet@reveantivirus.com.
Abhijeet Guha
  Leave a Comment
Search for: