কম্পিউটার বা স্মার্টফোন যেহেতু নাগালের বাইরে, আর ইমেইল অনেকেই নিয়মিত খুলেও দেখেন না তাই হ্যাকারদের জন্য একজন এন্ড ইউজারকে টার্গেট করার সবচেয়ে সহজ পথ হচ্ছে ব্রাউজার অ্যাটাক। ইন্টারনেট ব্যবহার করার জন্য আপনি মাইক্রোসফট এজ, গুগল ক্রোম, মজিলা ফায়ারফক্স, অপেরা মিনি বা ইউসি – যাই ব্যবহার করেন না কেন সবকয়টিতেই রয়েছে সাইবার অ্যাটাকের শিকার। ব্রাউজারের মাধ্যমে ভাইরাসের আক্রমণ প্রতিহত করতে এখানে তুলে ধরা হলো কার্যকর কিছু টিপস:
থার্ড পার্টি কুকিজকে ‘না’ বলুন
নিত্য ব্যবহার্য সাইটগুলির ক্ষেত্রে কুকিজ চালু রাখলেও অপরিচিত ওয়েবসাইটের জন্য ও থার্ড পার্টি কুকিজ অননুমিত করে রাখাই ভালো।
অটোকমপ্লিট ব্যবহারে কৌশলী হোন
অটোকমপ্লিট হচ্ছে একই ধাঁচের কাজ একবার করার পর ব্রাউজার নিজেই করে, যেমন কোনো সাইটে ইউজার নেম আর পাসওয়ার্ড লেখার সময় ব্রাউজার জানতে চায় পাসওয়ার্ড সেভ করে রাখা হবে কি না? এর কারণ পরের বার আপনি যখন এই সাইটে আবার প্রবেশ করতে যাবেন, তখন ব্যবহারকারীর নাম লিখলেই সে স্বয়ংক্রিয়ভাবে মেমরিতে থাকা পাসওয়ার্ডটি খুঁজে এনে বসিয়ে দেবে। নিয়মিত ভিজিট করেন এমন ওয়েবসাইটের বেলায় এটি বেশ কাজে দিলেও অদরকারি সাইটে অটোকমপ্লিট ব্যবহার না করাই ভালো, কেননা এতে হ্যাকারের জন্য অখ্যাত সাইট থেকে সংগৃহীত পাসওয়ার্ড জেনে যাওয়া সুবিধার হয়।
অ্যাড অন আর অ্যাড অফ
অ্যাড অন, হরেক কাজের সুবিধার জন্য ব্রাউজারে সংযুক্ত ছোট ছোট অ্যাপ্লিকেশন, কাজের হলেও বেশি অ্যাড অন ব্রাউজারের জন্য ক্ষতিকর। কেবল দরকারি অ্যাড অনসমূহই ব্যবহার করুন আর অবশ্যই ইনস্টলের আগে রেটিং দেখে নিতে ভুলবেন না যেন! এছাড়াও, বিরক্তিকর বিজ্ঞাপন থেকে মুক্তি পেতে ব্রাউজারে ব্যবহার করতে পারেন ভালো মানের কোনো অ্যাডব্লকার।
কনটেন্ট ফিল্টার ‘এনাবেল্ড’ রাখুন
অনেকেই ব্রাউজারের কনটেন্ট ফিল্টার ডিজ্যাবল করে রাখেন, এটা করা উচিত না। কনটেন্ট ফিল্টার চালু থাকলে কোনো সাইট ফিশিং বা ম্যালওয়্যার সংযুক্ত হলে তা আপনাকে নোটিফিকেশন দেখাবে। এছাড়াও, মনে রাখবেন কোনো সাইটে প্রবেশের সময় গুগল থেকে তাতে প্রবেশে সতর্কতা দেখালে ‘At my own risk’ ক্লিক করে প্রবেশ না করাই ভালো।
চালু রাখুন পপ-আপ ব্লকার
পপ-আপ অ্যাডের কাজ যে শুধু বিজ্ঞাপন দেখানো, তাই নয়। এতে ক্লিক করার পর অনেকসময় ক্ষতিকর ওয়েবসাইটে নিয়ে যাওয়া হয় যেখান থেকে ম্যালওয়্যারের শিকার হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা থাকে। পপ-আপ থেকে নিরাপদ থাকার জন্য অবশ্যই ব্রাউজারের পপ-আপ ব্লকার চালু রাখুন।
উল্লিখিত টিপসের পাশাপাশি একজন সচেতন নেটিজেন হিসাবে অবশ্যই আপনার কম্পিউটার ও স্মার্টফোনে ভালো মানের কোনো একটি অ্যান্টিভাইরাসের ইন্তারনেট সিকিউরিটি ব্যবহার করুন।