এক কথায় আপনি যাকে বার্তা/ছবি/ভিডিও পাঠাবেন বা কল করবেন তিনি ছাড়া আর কেউ তা দেখতে/জানতে বা পড়তে পারবেন না! দারুণ না? অন্তত হ্যাকিং বা ব্যক্তিগত কোনো বার্তা এখন আর কেউ দেখার ভয় থাকছে না। এর কাজের মূল প্রক্রিয়াটি এই যে আপনি যখন কোনো বার্তা পাঠান তা সাংকেতিকভাবে প্রেরিত হয় এবং অপর প্রান্তে রিসিভারের কাছে পৌঁছানোর সময়েই কেবল আবার সাধারণ বার্তায় পরিবর্তিত হয়। ফলে, মাঝে কোনো হ্যাকার কিংবা কোনো সংস্থা আর এসব বার্তা দেখতে পারে না।
এটি যেভাবে কাজ করে
হোয়াটসঅ্যাপে আপনি যখন কোনো বার্তা পাঠান, এটি সেই বার্তার জন্য একটি তাৎক্ষণিক কী (শব্দ বা সংখ্যাগুচ্ছ) তৈরি করে এবং এই কী এর বিপরীতে এনক্রিপ্টেড করে দেয়। গ্রাহকের কাছে বার্তাটি গেলে আবার এই একই কী ব্যবহার করে ডিক্রিপ্ট করা হয়। হোয়াটসঅ্যাপ এজন্য যে প্রযুক্তি ব্যবহার করে তার নাম এইএস-২৫৬ যা এইচএমএসি-এসএইচএ২৫৬ সহযোগে কাজ করে।
অবশ্যই, এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশন ব্যবহারের আগে আপনাকে প্রথমে একবার ভ্যারিফাই করে নিতে হবে।
যেভাবে বুঝবেন আদৌ ‘এনক্রিপ্টেড’ হচ্ছে কি না
এনক্রিপশন সুবিধা পেতে আপনাকে অবশ্যই হোয়াটসঅ্যাপ আপডেট করে নিতে হবে, এটি কেবলমাত্র নতুন ভার্সনসমূহে পাওয়া যাচ্ছে। ভুলে যাবেন না – শুধু আপনি একাই আপডেটেড করলে হবে না, অপর প্রান্তের অ্যাপটিও আপডেটেড হতে হবে! গ্রুপকলের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম প্রযোজ্য।
কারো সাথে আপনার কথোপকথন এনক্রিপ্টেড থাকছে কি না জানতে চ্যাটিং উইন্ডোর নিচের দিকে আসুন, ছবির মতো কোনো বার্তা আছে কি না দেখুন।