সাম্প্রতিক প্রতিবেদন অনুযায়ী- অ্যান্ড্রয়েড ফোনে থাকা জনপ্রিয় কিছু অ্যাপ ব্যবহারকারীর কথাবার্তা রেকর্ড করছে এবং স্মার্টফোন ব্যবহারের ধরন নজরদারি করছে। সবচেয়ে বিপদের কথা হচ্ছে, স্মার্টফোনের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্যের স্ক্রিনশট নিয়ে এবং তা ভিডিওচিত্র ধারণ করে দুর্বৃত্তের কাছে পাঠিয়ে দিচ্ছে।
গবেষকেরা বলছেন, ব্যবহারকারীর স্মার্টফোন থেকে ধারণ করা ভিডিও ও স্ক্রিনশটের মধ্যে থাকে ব্যবহারকারীর নাম, পাসওয়ার্ড, ক্রেডিট কার্ড নম্বর ও ব্যক্তিগত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।
যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টন নর্থইস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডেভিড শোফেনস বলেন, ‘আমরা দেখেছি, অ্যান্ড্রয়েড ফোনের প্রতিটি অ্যাপের পক্ষেই ব্যবহারকারীর স্মার্টফোনের স্ক্রিনের কার্যক্রম রেকর্ড রাখা সম্ভব। বিশেষ করে স্মার্টফোনে যা টাইপ করা হয়, তা রেকর্ড রাখতে পারে অ্যাপ।’
আইএএনএসের প্রতিবেদনে জানানো হয়, বার্সেলোনায় অনুষ্ঠেয় ‘প্রাইভেসি এনহ্যান্সিং টেকনোলজি সিম্পোজিয়াম কনফারেন্সে’ গবেষণাসংক্রান্ত ফলাফল প্রকাশ করা হবে।
এ গবেষণার জন্য অ্যান্ড্রয়েড প্ল্যাটফর্মের ১৭ হাজার অ্যাপ্লিকেশন নিয়ে পরীক্ষা চালান গবেষকেরা। এতে শিক্ষার্থীদের লেখা স্বয়ংক্রিয় পরীক্ষণপদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। এতে দেখা যায়, ১৭ হাজার অ্যাপের মধ্যে নয় হাজার অ্যাপে স্ক্রিনশট নেওয়ার সক্ষমতা রয়েছে।
গবেষক ক্রিস্টো উইলসন বলেন, শুরুতে অ্যাপ থেকে অডিও তথ্য ফাঁস করার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। পরে অনাকাঙ্ক্ষিত আরেকটি বিষয় সামনে চলে আসে। অ্যাপগুলো স্ক্রিনশট নিয়ে স্বয়ংক্রিয়ভাবে তৃতীয় পক্ষের কাছে যে পাঠাচ্ছে, সে বিষয়টি দেখা যায়।
গবেষকেরা বলছেন, গবেষণার মাধ্যমে স্মার্টফোনের প্রাইভেসি কত সহজে ভেঙে নিজের লাভের জন্য ব্যবহার করা যায়, তা দেখানো হয়েছে।
উইলসন বলেন, এ ধরনের তথ্য সংগ্রহ করে ক্ষতিকর কাজে লাগানো হতে পারে। সবচেয়ে বিপদের কথা হচ্ছে, ব্যবহারকারীর অজান্তেই তাঁর অনুমতি ছাড়া তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে।
অবশ্য, গবেষকদের মতে- শুধু অ্যান্ড্রয়েড ফোনে পরীক্ষা চালানো হয়েছে বলে অন্য প্ল্যাটফর্মগুলো নিরাপদ, তা ভাবার কারণ নেই।
নিরাপদ থাকতে করণীয়:
- প্লে স্টোর ছাড়া আর কোথাও থেকে অ্যাপ ডাউনলোড না করার পাশাপাশি যাবতীয় অ্যাপ আপডেটেড রাখা
- ফ্রি ওয়াইফাই কানেকশন ব্যবহার না করা
- অ্যাপ ইনস্টলের সময় কী কী পারমিশন চাইছে – দেখে নিয়ে এক্সেপ্ট করা
- ভালো মানের মোবাইল সিকিউরিটি ব্যবহার করা