16
Jan, 2019

পোস্টটি আপনি পড়ছেন, মানে এই মুহূর্তে আপনি অনলাইনে আছেন! আপনি ছাড়াও ঠিক একই সময়ে ইন্টারনেট ব্রাউজ করছেন অন্তত ১০০ কোটি মানুষ, যাদের সবাই যে ভালো মানুষ কী করে নিশ্চিন্ত হচ্ছেন? এমনও হতে পারে তাদের কেউ নজর রাখছেন ঠিক আপনারই ওপর। হয়তো নজর রাখছে মেইল কিংবা মেসেঞ্জারে কাউকে কোনো বিশেষ বার্তা কিংবা একান্ত কিছু শেয়ার করছেন কি না? কিংবা অপেক্ষায় আছে অনলাইনে কেনাকাটা করতে গিয়ে ব্যাংকিং তথ্য প্রবেশ করান যদি!

যদিও ‘১০০% নিরাপদ’ বলতে কোনো নিশ্চয়তা নেই, তবুও কিছুটা সচেতনতা অবলম্বন করলে অনলাইন প্রাইভেসি ক্ষুণ্ণ হওয়ার ঝুঁকি এড়ানো যায় অনেকাংশেই।

চলুন তবে দেখে নেই নতুন বছরে অনলাইন ঝুঁকি এড়াতে কী কী সচেতনতা অবলম্বন করা উচিত।

পাসওয়ার্ড ও টুএফএ

অনলাইন নিরাপত্তার প্রথম কথা পাসওয়ার্ড। আপনার পাসওয়ার্ড যদি এমন হয় যে কেউ তা অনুমান করে করে বের করে ফেলতে পারে তবে আপনি যত সুরক্ষাই অবলম্বন করেন না কেন সবই বিফল! পাসওয়ার্ড হতে হবে শক্তিশালী (কমপক্ষে আট অক্ষরের এবং যার কোনো অংশ ডিকশনারিতে নেই)। একই পাসওয়ার্ড কোনো অবস্থাতেই দুই বা ততোধিক অ্যাকাউন্টে ব্যবহার করা যাবে না।

পাশাপাশি, প্রতিটি অ্যাকাউন্টেই টুএফএ (অনলাইনে কোনো অ্যাকাউন্টে প্রবেশের জন্য পাসওয়ার্ড দেয়ার পরে মোবাইল ফোনে একটি কোড আসে যা ছাড়া প্রবেশ করা যায় না) ব্যবহার করুন।

ফিশিং বুঝে চলা

ফিশিং হচ্ছে জনপ্রিয় কোনো সাইটের মতো দেখতে হুবহু নকল সাইট বানিয়ে কাউকে তাতে ইউজার নেম ও পাসওয়ার্ড প্রবেশ করানো। এটি করা হয় সোশ্যাল মিডিয়ায় অবাক করার মতো কোনো খবর, মেসেঞ্জারে ব্যবহারকারীর ফাঁস হওয়া ভিডিও কিংবা ইমেইলে চমকে যাওয়ার মতো ইনভয়েস ইত্যাদি পাঠিয়ে। মূলত, এমন শিরোনাম দেখে কেউ বিভ্রান্ত হয়ে ডিটেইলস দেখতে লিংকে ক্লিক করলে সেখানে লগইন করতে বলা হয় – লগইনের জন্য দেয়া ব্যবহারকারীর ইউজার নেম ও পাসওয়ার্ড অন্যদিকে টুকে নেয় হ্যাকাররা।

অ্যাপ ইনস্টল করার আগে

মোবাইল ফোনে অপ্রয়োজনীয় আপ না রাখাই ভালো। দরকারি সফটওয়্যার কেবল গুগল প্লে স্টোর বা আইটিউনস থেকে নামিয়ে নিন। আর, ডাউনলোডের আগে অবশ্যই ইউজার রিভিউ এবং ইনস্টল করার সময় কী কী পারমিশন চাইছে ভালো করে দেখে নিন।

মোবাইল সিকিউরিটি ব্যবহার

যতই সচেতনতা অবলম্বন করা হোক না কেন যেকোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটলেও যেন একান্ত তথ্য বা হ্যারাসের শিকার হতে না হয় তাই অবশ্যই মোবাইল সিকিউরিটি ব্যবহার করুন। এতে ফোন হারিয়ে গেলেও যেসব সুবিধা পাবেন:

  • দূর থেকেও ফোন লক করে দেয়া বা লক কোড পরিবর্তন
  • হারিয়ে গেলেও নিজেই ট্র্যাক করা
  • একেবারেই না পাওয়া গেলে ডাটা মুছে দেয়া

কম্পিউটারেও সিকিউরিটি ব্যবহার করা

মোবাইল ফোনের মতো কম্পিউটারেও অবশ্যই অ্যান্টিভাইরাস/ইন্টারনেট সিকিউরিটি বা টোটাল সিকিউরিটি ব্যবহার করুন। এতে যেকোনো ভাইরাস/র‍্যানসমওয়্যার থেকে সুরক্ষাসহ কম্পিউটারের পারফর্মেন্স অটুট থাকবে।

The Author

Abhijeet Guha

Abhijeet is an active blogger with decent experience in the IT Security industry. He researches on various topics related to cyber security and pens down his research in the form of articles & blogs. You can reach him at abhijeet@reveantivirus.com.
Abhijeet Guha
  Leave a Comment
Search for: