অনলাইন নিরাপত্তা কী, এর প্রয়োজনীয়তাই বা কতটুকু – অল্প/বিস্তর ধারণা থাকলেও আমরা অনেকেই এটি নিয়ে অসচেতন। আর, এই সামান্য সচেতনতার অভাবেই আমাদের অনেকে শিকার হন অনলাইন স্প্যামিং, ফিশিং, স্পাইওয়্যার ও র্যানসমওয়্যারসহ নানাবিধ সাইবার হামলার। এসব থেকে নিরাপদ থাকতে ও আপনার কম্পিউটার বা স্মার্টফোনে থাকা তথ্য/ছবি এবং অনলাইন অ্যাকাউন্ট বেহাত হওয়া প্রতিহত করতে চলুন দেখে নেই নতুন বছরের জন্য অনলাইন নিরাপত্তা টিপস:
নিত্য প্রয়োজনীয় কিংবা বিশেষ কোনো ওয়েবসাইট যা ব্রাউজ করেন না কেন, অবশ্যই সাইটে প্রবেশ করেই দেখে নিবেন তার নামের শুরুতে https:// আছে কি না? এছাড়াও, ব্যক্তিগত তথ্যের গোপনীয়তায় অবশ্যই সেফ ব্রাউজিং ব্যবহার করুন।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ফেসবুক/ইমেইল বা বিভিন্ন অনলাইন আইডি হ্যাক হয় সহজ পাসওয়ার্ড ব্যবহারের কারণে। তাই, সচেতন হোন এখনই। আপনার কোনো অ্যাকাউন্টের পাসওয়ার্ড যদি নিজের নাম বা প্রিয়জনের নাম, মোবাইল নম্বর বা জন্মতারিখ ইত্যাদি সম্বলিত হয়ে থাকে, তবে তা বদলে ফেলুন। পাসওয়ার্ড এমনভাবে সেট করুন তা যেন কেউ অনুমান করতে না পারে এবং এতে যেন এমন কোনো শব্দ না থাকে যা ডিকশনারিতে আছে। কার্যকর পাসওয়ার্ড সেট করতে বড় এবং ছোট হাতের হরফে ইংরেজি অক্ষর, অংক এবং চিহ্ন যোগ করুন।
হুট করে ব্যাংক থেকে ‘অ্যাকাউন্ট নিরাপত্তা সংক্রান্ত’ জরুরী ইমেইলে আপনার পিন নম্বর জানতে চেয়ে মেইল বা ফোন করেছে? বিন্দুমাত্র পাত্তা না দিয়ে মেইলটি ডিলিট করে দিন বা যতই অশোভন হোক না কেন ফোন কেটে দিন! মনে রাখবেন- পরিস্থিতি যতই গুরুতর হোক না কেন, কোনো আর্থিক প্রতিষ্ঠান কখনোই ফোনে বা ইমেইলে কখনো আপনার কাছে ব্যাংকিং তথ্য চাইবে না। একান্ত প্রয়োজন হলে সরাসরি নিজে ব্যাংকে যেন কিংবা তাঁদের কোনো প্রতিনিধিকে ডেকে পাঠান।
সময়টাই এখন সোশ্যাল মিডিয়ার, ব্রেকিং নিউজ থেকে শুরু করে কোথায় যাচ্ছেন, কী খাচ্ছেন এমনকি চাকরিদাতাও আগের কাজের ফিরিস্তি জানতে চোখ রাখেন ফেসবুক বা লিংকডইন টাইমলাইনে। অসামাজিক হতে বলছি না, তবে মাঝে মাঝে নিজের অ্যাক্টিভিটি যাচাই করুন – আপনার অজ্ঞাতে কেউ আবার আপনি হয়ে পোস্ট বা কাউকে মেসেজ পাঠাচ্ছেন না তো!
অনলাইনে নিরাপত্তার জন্য অ্যান্টিভাইরাসের কোনো বিকল্প নেই। আপনার যদি একটি কম্পিউটার বা স্মার্টফোন থেকে থাকে আর তা দিয়ে আপনি ইন্টারনেট ব্যবহার করেন, তবে অবশ্যই তাতে অ্যান্টিভাইরাস ব্যবহার করা উচিত। কিন্তু, অ্যান্টিভাইরাস ব্যবহার করতে গিয়ে অনেকেই ইন্টারনেট থেকে বা প্রি-ইনস্টলড ‘ফ্রি অ্যান্টিভাইরাস’ ব্যবহার করি যা ভালোর চেয়ে খারাপই ডেকে আনে বেশি। বাজারে একই অ্যান্টিভাইরাসের লাইসেন্সড ভার্সন থাকায় ফ্রি ভার্সনে অনেক সুবিধাই অনুপস্থিত থাকে এবং কখনো কখনো তথাকথিত ফ্রি অ্যান্টিভাইরাস থেকে ভাইরাস ছড়ানোরও অভিযোগ থাকে বলে বাজার থেকে দেখে-শুনে ভালো মানের অ্যান্টিভাইরাসের লাইসেন্সড ভার্সন ব্যবহার করা উচিত।