পড়াশোনা কিংবা চাকরি/ব্যবসা – যাই করুন না কেন, ইমেইল এখন সবারই পরিচিত। কম্পিউটার কিংবা মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীদের কাছে হাজারো রকমের ইমেইল আসে রোজ। ক্লাসের অ্যাসাইনমেন্ট থেকে শুরু করে অফিসিয়াল অর্ডার কিংবা কোনো কিছুর সাথে সম্পৃক্ত না থাকলেও সারা সপ্তাহের টাইমলাইন – ইমেইল আসেই! এর পাশাপাশি আছে চাল-ডালের বাজারদর থেকে শুরু অল্প টাকায় মেগাবাইট কেনার অফার ইত্যাদির এসএমএস। এই সুযোগেই ইমেইল আর এসএমএসকে কাজে লাগায় হ্যাকাররা, পাঠায় স্প্যাম ও ফিশিং মেইল/মেসেজ।
সাধারণত, একসঙ্গে অজস্র মানুষকে একই এসএমএস বা মেইল পাঠানো স্প্যামিং আর তাতে কোনো জনপ্রিয় বা প্রসিদ্ধ ওয়েবসাইটের লগইন পাতার মতো হুবহু নকল পাতা তৈরি করে কাউকে লিংক পাঠিয়ে লগইনে উৎসাহিত করে ইউজার নেম, পাসওয়ার্ড বা ব্যাংকিং তথ্য চুরি বা চেষ্টা করা ফিশিং।
স্প্যাম ও ফিশিং থেকে নিরাপদ থাকতে অন্তত দুইটি সতর্কতা অবলম্বন করুন-
১। অপরিচিত ঠিকানা থেকে পাঠানো মেইলে কোনো অ্যাটাচড ফাইল যেমন- ইনভয়েস/মানি রিসিপ্ট/বুকিং কনফার্মেশন ইত্যাদি পাঠানো হলে তা খোলা থেকে বিরত থাকুন।
২। পরিচিত কিংবা অপরিচিত যেকোনো প্রতিষ্ঠানের নামে পাঠানো মেইল থেকে কোনো স্পর্শকাতর তথ্য যেমন ফোন/অ্যাকাউন্ট/ক্রেডিট কার্ডের নম্বর/ জন্ম তারিখ ইত্যাদি জানতে চাওয়া হলে দেয়ার আগে কল করে নিশ্চিত হয়ে নিন – আদৌ সেখান থেকে মেইলটি করা হয়েছে কি না?