সাবধান! ফ্রি ওয়াইফাই হতে পারে সর্বনাশের কারণ!!

রেস্তোরাঁয় কিংবা শপিং মলে হুট করে তোলা সেলফি বা চেকইন শেয়ার করতে ও জরুরী হাতের কাজটি সেরে নিতে পাবলিক ওয়াইফাই পাওয়া একপ্রকার আশীর্বাদই বলা চলে। কিন্তু, সাবধান! সামান্য অসচেতনতায় এটি ডেকে আনতে পারে সমূহ বিপদ। ফ্রি ওয়াইফাই আপনার ব্যক্তিগত ও গোপনীয় তথ্য হ্যাকারের হাতে তুলে দিয়ে বিপর্যস্ত করে তুলতে পারে আপনার স্বাভাবিক জীবন পর্যন্ত। তাই সচেতন হওয়া প্রয়োজন এখনই।
পাবলিক ওয়াইফাই ব্যবহারে মেনে চলুন নিম্নবর্ণিত সতর্কতাসমূহ:

• 1. হ্যাকাররা বিভিন্ন সময় সুনামধন্য প্রতিষ্ঠান ও জনবহুল স্থানসমূহের নামে ও আশেপাশে ফ্রি ওয়াইফাইয়ের ফাঁদ পেতে রাখে। তাই, এ ধরণের সংযোগ ব্যবহারের আগে সেখানকার দায়িত্বশীল কাউকে জিজ্ঞেস করে নিন ওয়াইফাইটি আদৌ সে প্রতিষ্ঠানের কি না?
  2. পাবলিক ওয়াইফাই ব্যবহার করে কোনো অ্যাকাউন্টে লগইন না করাই ভালো। একান্ত লগইন করতেই হলে আগে দেখে নিন কাঙ্ক্ষিত সাইটটি ‘এনক্রিপশন’ সাপোর্ট করে কি না?
  3. ফ্রি ওয়াইফাই নিয়মিত ব্যবহার করা লাগলে রিভিউ দেখে ভালো মানের কোনো একটি ভিপিএন সফটওয়্যার ইনস্টল করে নিন। ভিপিএনের মাধ্যমে ডাটা প্রাইভেট টানেল দিয়ে আসা-যাওয়া করে বলে তৃতীয় কোনো পক্ষ তা অ্যাক্সেস করতে পারে না।
     
  4. এখন অ্যাড-অনের যুগ! ভিপিএনে আস্থা কম থাকলে অ্যাড-অন ব্যবহার করুন। সংশ্লিষ্ট ব্রাউজারের অ্যাড-অন গ্যালারি সার্চ করে বের করুন HTTPS অ্যাপ্লিকেশন।

     

     এসব অ্যাড-অন আপনাকে কোন সাইট এনক্রিপশন সাপোর্ট করে ও কোনটি করে না তথা একটি সাইটে ব্যক্তিগত তথ্য প্রবেশ করানো ঠিক হবে কি হবে না তা জানিয়ে নিরাপদ ব্রাউজিং করতে সাহায্য করবে।

  1. আপনার ডিভাইসের ওয়াইফাই সেটিংস থেকে ‘অটোম্যাটিকালি কানেক্ট’ অপশন বন্ধ করে দিন। এ ধরণের কানেকশনসমূহ একপ্রকার ফাঁদ ছাড়া আর কিছুই না। তাই, যখন সংযোগ প্রয়োজন হবে তখন নিজে খুঁজে কানেক্ট করে নেয়াটাই বুদ্ধিমানের কাজ।

উল্লিখিত সতর্কতাসমূহের বাইরেও একজন সচেতন ইন্টারনেট ব্যবহারকারী হিসেবে পৃথক পৃথক অ্যাকাউন্টের জন্য পৃথক পাসওয়ার্ড ব্যবহার করা, মোবাইল ভ্যারিফিকেশন চালু রাখা, লিংক চোখে পড়ামাত্র ক্লিক না করাসহ ব্রাউজারের ফিশিং অ্যালার্টের দিকে নজর রাখা, কাজশেষে লগআউট করে দেয়া ও দেখে-শুনে যাচাই করে গুণগত মানসম্পন্ন অ্যান্টিভাইরাস ব্যবহার করা অনলাইনের যে কোনো হুমকি থেকে সুরক্ষিত থাকতে সাহায্য করে।