২০১৬ সালে প্রথম প্রকাশিত হলেও সম্প্রতি নতুন করে প্রায় ৫ লক্ষ ব্যবহারকারী ‘লকি র্যানসমওয়্যার’ এর শিকার হয়েছেন। এটি ইমেইলে অ্যাটাচমেন্ট আকারে একটি বিশেষ মাইক্রোসফট ওয়ার্ড ফাইল আকারে আসে যা খোলামাত্র macros এনাবেল করতে বলা হয়। ব্যবহারকারী তাতে সম্মতি দিলে একটি এনক্রিপশন ট্রোজান ডাউনলোড হয় এবং ডিভাইসে রক্ষিত ফাইল দখল করা শুরু করে।
এনক্রিপশনশেসে লকি হামলার শিকার ব্যবহারকারীকে একটি লিংক দিয়ে ‘টর’ ব্রাউজার ডাউনলোড করে নির্ধারিত অংকের জরিমানা বিটকয়েন দিয়ে পরিশোধ করতে বলে। যেহেতু আগে থেকেই সেই ডিভাইসের সকল ডাটা হ্যাকাররা ‘লকড’ করে রাখে ব্যবহারকারীর তখন আর মুক্তিপণ দেয়া ছাড়া অন্য কোনো উপায় থাকে না।
ওয়ানাক্রাই এবং পেটিয়া র্যানসমওয়্যারের ধারাবাহিকতায় স্বল্প সময়ের ব্যবধানে আবারও একটি র্যানসমওয়্যার হামলা ভাবিয়ে তুলেছে সাইবার বিশেষজ্ঞদেরও। তাঁদের মতে র্যানসমওয়্যার থেকে সুরক্ষিত থাকতে সচেতনতার কোনো বিকল্প নেই। যাঁরা উইন্ডোজ এক্সপি ব্যবহার করছেন, তাঁরা এক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে আছেন। এছাড়াও, উইন্ডোজ সেভেন ব্যবহারকারীদেরও নিরাপত্তা প্যাঁচ হালনাগাদ করে নেয়া উচিত এখনই। আর, পিসিতে ইতোমধ্যে র্যানসমওয়্যারের আক্রমণ হলেও হ্যাকারকে অর্থ দেয়া যাবে না কোনোভাবেই। কেননা এতে হ্যাকার উৎসাহিত হতে পারে কিংবা একই ব্যবহারকারীকে আবারও ব্ল্যাকমেইল করতে পারে। কম্পিউটারে তেমন গুরুত্বপূর্ণ কোনো ফাইল না থাকলে পিসি ফরম্যাট করে অপারেটিং সিস্টেম ও ভালো মানের অ্যান্টিভাইরাসের লাইসেন্সড ভার্সন ইনস্টল করে ফুল স্ক্যান করে নিতে হবে।
র্যানসমওয়্যার থেকে সুরক্ষিত থাকতে এখানে কিছু নির্দেশনা তুলে ধরা হলো:
র্যানসমওয়্যার সংক্রান্ত জিজ্ঞাসা বা সাহায্যের জন্য দিন-রাত যেকোনো সময় যোগাযোগ করতে পারেন রিভ অ্যান্টিভাইরাস সাপোর্ট সেন্টারে: 01844079181