মোবাইল ফোন ছাড়া ২৪ ঘণ্টা চিন্তা করুন তো! ভাবুন, আগে থেকে কিছু না জানিয়ে হুট করেই মোবাইলের নেটওয়ার্ক চলে গেছে বা আপনার হ্যান্ডসেটটি ‘ডেড’ হয়ে গেছে, হাতের কাছে কোনো বাড়তি মোবাইল ফোন নেই আর আগামী ২৪ ঘণ্টার মাঝে কেনাও সম্ভব না – কেমন হবে? ভালো/মন্দ জরুরী খবরাখবর, টেক্সট, ফেসবুকিং, ব্রেকিং নিউজ, উবার – সব বন্ধ! কতক্ষণ থাকতে পারবেন এভাবে ডিসকানেক্টেড অবস্থায় – ১২ ঘণ্টা; ছয়, তিন কিংবা এক ঘণ্টা?
মোবাইল ফোন এভাবে এক অর্থে আমাদের জীবনের সাথে মিশে গেছে, আর এই জীবনযাত্রা সহজ করতে স্মার্টফোন ব্যবহারকারীরা কম-বেশি ডাউনলোড করছেন বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশন। এসব অ্যাপ্লিকেশন কম-বেশি ‘অ্যাপ’ বলেই পরিচিত, এবং অ্যাপ ডাউনলোড করার জন্য অপারেটিং সিস্টেম অনুযায়ী প্রতিটি ধরণের মোবাইল ফোনের জন্য রয়েছে নিজস্ব অ্যাপ স্টোর।
তবে, সামান্য কিছু এমবি খরচ না করতে গিয়ে অনেকেই অ্যাপ স্টোর থেকে প্রয়োজনীয় অ্যাপটি ডাউনলোড না করে অন্য কোনো থার্ড পার্টি অ্যাপ দিয়ে এক মোবাইল ফোন থেকে অন্য মোবাইল ফোনে অ্যাপ শেয়ার করেন বা আনট্রাস্টেড অ্যাপ ইনস্টল করেন। মোবাইল ফোনের পাশাপাশি ব্যক্তি নিরাপত্তার জন্যও এটি হুমকিদায়ক। কেননা, ভাইরাস বা ম্যালওয়্যার সংক্রমণ ছাড়াও রোগ অ্যাপ্লিকেশন আপনার ফোনে থাকা তথ্য এবং ফোন ব্যবহার করে যা যা করছেন তার বিস্তারিত বিবরণ হ্যাকারকে সরবরাহ করতে পারে।
মোবাইল ফোনে রোগ অ্যাপ প্রতিহত করতে এখানে তুলে ধরা হলো কার্যকর কিছু কৌশল:
এছাড়াও, বিনা দরকারে ওয়াই-ফাই, ব্লু-টুথ ইত্যাদি চালু না রাখার পাশাপাশি পাবলিক বা ফ্রি ওয়াই-ফাই ব্যবহার থেকে বিরত থাকা এবং মোবাইল ফোন সবসময় পাসওয়ার্ড প্রোটেকটেড রাখা ফোন এবং ব্যবহারকারীর নিরাপত্তার জন্য উপকারী।