চলুন তাহলে দেখে নেয়া যাক হ্যাকাররা এসব কাজে কী কী ফাঁদ পাতে আর কীভাবেই বা এসব থেকে নিস্তার পাওয়া যায়।
চোখের সামনে অ্যাপ বা গেম দেখলেই ‘ট্রাই’ করে দেখার কথা ভাবেন? সাধু সাবধান! বেঘোরে মোবাইলটা হারাতে না চাইলে এখন থেকে একটু বুঝেশুনে ইনস্টল করুন। ম্যালিশাস তথা ম্যালওয়্যার যুক্ত থাকতে পারে আপাতঃ নিরীহদর্শন ইনস্ট্যান্ট ম্যাসেজিং (আইএম) ও গেমসমূহে! এসব হ্যাকারের কাছে আপনার তথ্য ও ফাইল পাঠানো ছাড়াও নিজে থেকে পরিবর্তন করতে পারে ফোনের সেটিংস এমনকি যাকে তাকে পাঠাতে পারে মেইলও!
অঢেল টাকা পুরস্কার কিংবা লটারিতে গাড়ি-বাড়ি বা অপেক্ষমান নারীর এসএমএস পেয়েছেন! যোগাযোগের জন্য লিংক দেয়া আছে – তাই না? এড়িয়ে যান। এই লিংকই ফিশিং। ডিটেইল এসএমএসও দেখার দরকার নেই, প্রিভিউ দেখেই মুছে দিন।
মুফতে কিছু পেলে কে না চায়? আর, সেটা ওয়াইফাই হলে তো কথাই নেই! এবার এই অভ্যাসটা ছাড়তেই হচ্ছে। কেননা, হ্যাকাররা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মোবাইল ব্যবহারকারী ধরতে টোপ ফেলে ফ্রি ওয়াইফাই দিয়েই।
‘ওয়ান রিং ওয়্যারলেস ফোন স্ক্যাম’ নামে পরিচিত এই ফাঁদে সাধারণত অদ্ভুতুড়ে নম্বর থেকে কল করা হয় ভিক্টিমকে। তবে, একবার বা বড়জোর দুইবার রিং হওয়ার পরেই কেটেই দেয়া হয় কলটি! এরপর তা দেখে এই প্রান্ত থেকে কল দেয়া হলেই হয় মহা সর্বনাশ। হ্যাকারের প্রান্তে স্বয়ংক্রিয়ভাবে রিসিভ হয়ে কলারের পুরো অ্যাকাউন্ট ব্যালেন্স ‘নাই’ হয়ে যাওয়া ছাড়াও চলে যায় কলারের লোকেশনসহ কিছু ব্যক্তিগত তথ্য। এই ধরণের ঝুঁকি এড়ানোর জন্য অপরিচিত নম্বর থেকে একবার মিসকল এলেই কল না করে পুনরায় কল আসার জন্য অপেক্ষা বা এরিয়া কোড কিংবা আধুনিক কলার আইডেন্টিফিকেশন অ্যাপের সাহায্যে পরিচয় জানার চেষ্টা করা উচিত।