কম্পিউটার চালু করে ব্রাউজারে ঢুকলাম, ওয়েবসাইট অ্যাড্রেস লিখে এন্টার চাপলাম। ব্রাউজিং আসলে এতটাই সোজা – অবশ্য সামনে থেকে! কিন্তু, কীভাবে সারা দুনিয়ার সবকিছু নিমেষে আমাদের কম্পিউটারের পর্দায় চলে আসে তা রহস্য না হলেও এর পরিধি অনেক ব্যাপক। তবে এই ব্যাপকতার মাঝেও একটি বিষয় কমবেশি সবার জানা যে হ্যাকাররা আক্রমণ করে থাকে এই ব্যাকএন্ডেই। কীভাবে এই আক্রমণ হয় তাই আজ আমরা দেখবো ম্যান-ইন-দ্যা-মিডল অ্যাটাক নিয়ে আলোচনায়।
ধরা যাক, দুজন মানুষ চ্যাট করছেন। তাঁরা কী নিয়ে আলোচনা করছেন বা কে কাকে কী রিপ্লাই দিচ্ছেন – তাঁরা অন্য কাউকে না বললে সাধারণভাবে তা আর কেউ জানার কথা না। কিন্তু, যদি এমন হয় যে তাঁরা কথা শুরু করামাত্র তা কোনো তৃতীয় ব্যক্তি টের পান? শুধু টের পাওয়াই না, অদৃশ্য হিসেবে তিনি নিজেও অংশ নেন ওই চ্যাটে – কথোপকথনকারী দুই ব্যক্তির কে, কী লিখছেন না লিখছেন দেখার পাশাপাশি চাইলে এমনকি যে কেউ একজন সেজে অন্যকে উত্তরও দিচ্ছেন! এভাবে মূলত দুই কম্পিউটারের মাঝের যোগাযোগে অন্য কম্পিউটার থেকে হ্যাকারের অনুপ্রবেশকেই ‘ম্যান-ইন-দ্যা-মিডল অ্যাটাক’ বলা হয়।
ম্যান-ইন-দ্যা-মিডল অ্যাটাক করা হয় টার্গেটের গোপনীয়/একান্ত এবং আর্থিক তথ্য ইত্যাদি জানা ও সংগ্রহ করার জন্য।
যে কেউ, যেকোনো সময় ম্যান-ইন-দ্যা-মিডল অ্যাটাক ভিক্টিম হতে পারেন। কম্পিউটার বা মোবাইল ফোন যে ডিভাইস থেকেই ইন্টারনেট ব্যবহার করেন না কেন, সংযোগ যদি অনিরাপদ হয় বিশেষত ফ্রি ওয়াইফাই ব্যবহারকালীন সময়ে ম্যান-ইন-দ্যা-মিডল অ্যাটাক হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
কোনো ওয়েবসাইটে প্রবেশের পর যদি দেখেন নামের শুরুতে সবুজ রংয়ের তালাচিহ্নসহ https:// লেখা নেই, তবে দ্রুত ওই সাইট থেকে বের হয়ে যান।
ম্যান-ইন-দ্যা-মিডল অ্যাটাক থেকে নিরাপদ থাকতে কোনো ওয়েবসাইটের নামের শুরুতে https:// এর বদলে http:// থাকলে সেখানে চ্যাটিং করা কিংবা কিছু লিখে শেয়ার করা থেকে বিরত থাকুন। শুধু লেখালেখি না, এমন সাইটে ছবি বা ভিডিও শেয়ার করা হলে তাও ‘লিক’ হতে পারে।
ম্যান-ইন-দ্যা-মিডল অ্যাটাকসহ যেকোনো অনলাইন থ্রেট থেকে নিরাপদ থাকতে অবশ্যই আপনার পিসি এবং কম্পিউটারে প্রিমিয়াম মানের টোটাল সিকিউরিটি ও মোবাইল সিকিউরিটি ব্যবহার করুন।