ফিশিং শব্দের আভিধানিক অর্থ প্রতারণার মাধ্যমে তথ্য চুরি, ইন্টারনেটের পরিভাষায়- কোনো জনপ্রিয় ওয়েবসাইটের মতো দেখতে নকল ওয়েবপেজ সাজিয়ে কৌশলে কাউকে তাতে লগইন করানোর মাধ্যমে আইডি হ্যাক করা তথা ইউজার নেম, পাসওয়ার্ডসহ বিভিন্ন ব্যক্তিগত তথ্য বা ছবি চুরি।
উইকিপিডিয়ার তথ্যমতে, প্রতি বছর প্রায় ৫ বিলিয়ন অ্যাকাউন্ট ফিশিংয়ের মাধ্যমে বেহাত হয়। তাই, ফিশিং থেকে সুরক্ষার জন্য সবার আগে জানা প্রয়োজন ফিশিংয়ের বিভিন্ন রকমফের সম্পর্কে:
স্পিয়ার ফিশিং
ফিশিংয়ের খুব পরিচিত মাধ্যম স্পিয়ার ফিশিং – ফেসবুক বা এমন সামাজিক মাধ্যমসমূহে খুঁজে নেয়া হয় টার্গেট। তারপর তাঁর পরিচিত কারো নামে খোলা হয় ফেক আইডি এবং সেই আইডি থেকে মজাদার বা গুরুত্তপূর্ণ কোনো তথ্য দেয়ার ছলে দেয়া হয় বিশেষ লিঙ্ক, আর এই লিংকে ক্লিক করা থেকেই শুরু হয় সর্বনাশের সূচনা!
ক্লোন ফিশিং
শুধু কি ফেসবুক আইডি বা ওয়েবসাইট ‘ফেক’ হয়? ইমেইলও কিন্তু নকল হয়! নকল ইমেইল আইডি দিয়ে পরিচিত বা প্রতিষ্ঠিত কোনো ব্যাংকিং বা এমন কোম্পানি সেজে মেইল পাঠিয়ে তথ্য সংগ্রহ করার কৌশল হচ্ছে এই ক্লোন ফিশিং।
হ্যোয়ালিং
এই কৌশল মূলত ব্যবহৃত হয় কোনো প্রতিষ্ঠানের বড় কর্তাদের ফাঁদে ফেলার জন্য। সাধারণত কাস্টমার সেজে বা আইনি সমস্যার কথা আলোচনার ছলে সংযুক্ত লিঙ্কে প্রবেশ করানোই এই ফিশিংয়ের লক্ষ্য।
যেভাবে নিরাপদে থাকবেন
যেহেতু সাম্প্রতিক সময়ে অনেক বেশি ফিশিংয়ের ঘটনা ঘটছে, তাই অনলাইনে এ বিষয়ে সম্পূর্ণ সতর্ক থাকা উচিত সকল ব্যবহারকারীরই: