সেলফি, চেক-ইন, লাইভ – সোশ্যাল মিডিয়ার কল্যাণে এসব এখন জীবনের অংশ! স্ট্যাটিসটিকা’র হিসাবে বিশ্বে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় ৩০০ কোটি, আর দেশে ফেইসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৩ কোটি। ফলে এখন আর শুধু তারকারা নয়, অনলাইন হ্যাকিংয়ের শিকার হচ্ছে সাধারণ মানুষজনও।
চলুন তবে দেখে নেই অনলাইনে পার্সোনাল ইনফরমেশন লিক প্রতিহত করতে করণীয় সমূহ:
ইমেইল, ফেইসবুক, টুইটার কিংবা যে অনলাইন সেবাই গ্রহণ করেন না কেন – সুরক্ষিত থাকতে অবশ্যই শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ও টুএফএ (টু ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন – ইউজার নেম ও পাসওয়ার্ড দেয়ার পরে মোবাইল ফোনে কোড আসা) চালু করে নিতে হবে।
গুরুত্বপূর্ণ ডাটা আলাদা কোনো হার্ডডিস্ক বা ক্লাউডে ব্যাকআপ রাখুন ও সপ্তাহ বা মাসান্তে হালনাগাদ করার অভ্যাস করুন।
মোবাইল ফোনে অপ্রয়োজনীয় আপ না রাখাই ভালো। দরকারি সফটওয়্যার কেবল গুগল প্লে স্টোর বা আইটিউনস থেকে নামিয়ে নিন। আর, ডাউনলোডের আগে অবশ্যই ইউজার রিভিউ এবং ইনস্টল করার সময় কী কী পারমিশন চাইছে ভালো করে দেখে নিন।
যতই সচেতনতা অবলম্বন করা হোক না কেন যেকোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটলেও যেন একান্ত তথ্য বা হ্যারাসের শিকার হতে না হয় তাই অবশ্যই মোবাইল সিকিউরিটি ব্যবহার করুন। এতে ফোন হারিয়ে গেলেও যেসব সুবিধা পাবেন:
মোবাইল ফোনের মতো কম্পিউটারেও অবশ্যই অ্যান্টিভাইরাস/ইন্টারনেট সিকিউরিটি বা টোটাল সিকিউরিটি ব্যবহার করুন। এতে যেকোনো ভাইরাস/র্যানসমওয়্যার থেকে সুরক্ষাসহ কম্পিউটারের পারফর্মেন্স অটুট থাকবে।
ওয়েবসাইটগুলো তো কুকিজ ব্যবহার করেই, হ্যাকাররাও চাইলে নজর রাখতে পারে আপনার ব্রাউজিং, সার্চ – সবকিছুতেই। তাই, নিরাপদ থাকতে অবশ্যই সেফ ব্রাউজিং মোডে ব্রাউজিং করুন।
অনলাইনে কোথাও আপনাকে নিয়ে কুৎসা রটনা হচ্ছে কি না – নজরে রাখতে চাইলে গুগলে গিয়ে নিজের নামে অ্যালার্ট চালু করে রাখতে পারেন। এতে কোনো পার্সোনাল লিক চোখে পড়লে রিপোর্ট করতে পারবেন।