অফিসের কাজ, আর বাড়তি সময়ে ফেসবুকিং। এছাড়াও পত্রিকায় খবর পড়া থেকে রোজকার বাজার-সদাই সবই এখন হয় ইন্টারনেট ব্রাউজ করে। কিন্তু, এসবের ভিড়ে সাধের আইডি কিংবা ডিভাইসে থাকা একান্ত তথ্য যেন হ্যাকারের হাতে চলে না যায় – সেজন্য বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে আমাদের এবারের নিরাপদ ব্রাউজিং পরামর্শ।
আপনার অপারেটিং সিস্টেম আপডেটেড তো?
সচরাচর আমরা এভাবেই অভ্যস্ত যে পিসিতে উইন্ডোজ বা অন্য অপারেটিং সিস্টেম ইনস্টল করেই অটোম্যাটিক আপডেট ‘অফ’ করে রাখতে হয়। কখনোই এমনটি করা উচিত নয়। কেবলমাত্র প্রথমবার বড় আকারের মেগাবাইট লাগলেও এরপর এতে খুব অল্পই এমবি খরচ হয়। তাই, সামান্য কিছু মেগাবাইট বাঁচাতে গিয়ে নিজের ক্ষতি ডেকে আনবেন না। পাশাপাশি নিয়মিত ব্যবহার করেন এমন সব সফটওয়্যারও নিয়মিত হালনাগাদ করা উচিত।
৩ মাস অন্তর পাসওয়ার্ড বদলান
নিয়মিত তিন মাস অন্তর পাসওয়ার্ড বদলে ফেলা হলে এবং একই পাসওয়ার্ড আবার ব্যবহার না করা হলে হ্যাকিংয়ের ঝুঁকি কমে যায় অনেকখানি। শুধু তাই নয়, পাসওয়ার্ড এমন হতে হবে যেন কেউ সহজে তা অনুমান করতে না পারে, ডিকশনারির কোনো শব্দ না হয় এবং আপনার বা নিকট কারো নাম, জন্ম তারিখ বা ফোন নম্বরের সাথে মিলে না যায়।
ইমেইলের নিরাপত্তায় জোর দিন
অনেকেই ফেসবুক বা অন্য কোথাও আইডি খোলার জন্য ইমেইল অ্যাকাউন্ট খুললেও এর নিরাপত্তায় উদাসীন থাকেন, এমনকি কেউ কেউ ভুলেই যান যে আদৌ কী পাসওয়ার্ড ছিল ইমেইলের। এটা কখনোই করা উচিত নয়, কেননা অন্য কোনো আইডি বেহাত হলেও তা ফিরে পাওয়ার জন্য ইমেইল হচ্ছে সবচেয়ে নিরাপদ মাধ্যম। তাই, আপনার ইমেইলের নিরাপত্তায় অবশ্যই টুএফএ (লগইন করার সময় ফোনে ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড আসবে, যা ছাড়া লগইন করা যাবে না)।
নকল ওয়েবসাইট থেকে সাবধান!
নকল ও অনুপযোগী ওয়েবসাইট এড়িয়ে চলুন। কোনো সাইটে প্রবেশের ক্ষেত্রে ব্রাউজার থেকে ‘সতর্কতা’ দেখালে ‘অন মাই রিস্ক’ দিয়ে প্রবেশ করবেন না।
সাইবার সিকিউরিটি বিষয়ে চোখ-কান খোলা রাখুন
অনলাইন জগতে বিচরণের পাশাপাশি এর নিরাপত্তা সংক্রান্ত দিকেও চোখ-কান খোলা রাখা উচিত। এজন্য অন্তত গুগল নিউজ অ্যালার্টে ‘অনলাইন নিরাপত্তা’ দিয়ে সতর্কবার্তা সেট করে রাখা যেতে পারে।