হ্যাকারদের কাছ থেকে আড়াল থাকতে এখানে তুলে ধরা হলো প্রয়োজনীয় সিকিউরিটি টিপস।
ইউআরএল যাচাই
ব্যক্তিগত বা গোপনীয় কিছু লেখার আগে অবশ্যই দেখে নিন ওয়েবসাইটটির ঠিকানা ‘https’ দিয়ে শুরু হয়েছে কি না? আরও খেয়াল করে দেখবেন ওয়েব ঠিকানার আগে তালা চিহ্ন আছে কি না – কানেকশন নিরাপদ বোঝাতে এই চিহ্ন ব্যবহার করা হয়।
একটু কঠিন পাসওয়ার্ড ব্যবহার
হ্যাকার ঠেকানোর প্রাথমিক হাতিয়ার পাসওয়ার্ড। পাসওয়ার্ড সেট করার সময় মাথায় রাখবেন এটি যেন হয় একটু বড়, অন্যরকম এবং যেন কেউ সহজে তা অনুমানও না করতে পারে। ভিন্ন ভিন্ন অ্যাকাউন্টের জন্য ভিন্ন ভিন্ন পাসওয়ার্ড সেট করা ভালো। আর, কোনো পাসওয়ার্ড কখনো কাগজ, ডায়েরি বা মোবাইল ফোনে সেভ করে রাখবেন না।
পপ আপ মেসেজ থেকে সাবধান!
ইন্টারনেটে থাকাকালীন প্রায়ই দেখবেন বিভিন্ন পপ আপ মেসেজ ভেসে আসে। ভুল করেও এদের উপর মাউস না নেয়াই ভালো। পপ আপ সাধারণত ম্যালওয়্যার সংযুক্ত থাকে ও জোর করে অন্য কোনো সাইটে নিয়ে যেতে পারে যা আপনার জন্য হুমকিদায়ক হতে পারে।
আবার, কখনো কখনো বহুল ডাউনলোডকৃত অনেক সফটওয়্যারের সাথেও ম্যালওয়্যার যুক্ত করে দেয়া থাকে, তাই মুভি ডাউনলোডার বা পিডিএফ রিডার জাতীয় ফাইল নামানোর প্রয়োজন হলে বিশ্বস্ত কোনো সাইট থেকে নামানো উচিত।
প্রতারকদের মেইল বা ফোনকলে কান দেবেন না
ব্যাংক কিংবা অন্য কোনো আর্থিক প্রতিষ্ঠানের নামে এসেছে বলে যেকোনো কল, এসএমএস বা মেইল বিশ্বাস করবেন না। মনে রাখবেন, ব্যাংক বা এ ধরণের কোনো প্রতিষ্ঠানই কখনো ফোনকল বা ইমেইলের মাধ্যমে আপনার কাছে কোনো স্পর্শকাতর তথ্য চাইবে না, তাই এসব মেইলের কোনো উত্তর না দেয়ার পাশাপাশি কোনো লিংকেও ক্লিক না করাই ভালো।
অবশ্যই অ্যান্টিভাইরাস ব্যবহার করুন
হ্যাকিংসহ যে কোনো সাইবার হুমকি প্রতিহত করার আসলে একটিই উপায় – তা হচ্ছে পরিপূর্ণ নিরাপত্তা দিতে সক্ষম এমন কোনো অ্যান্টিভাইরাস ব্যবহার করা। বাজারে প্রচলিত অ্যান্টিভাইরাসসমূহের মাঝে দেখে-শুনে আপনার প্রয়োজনমাফিক নিরাপত্তা প্রোগ্রাম বেছে নিন।