“এতদিনের পুরনো কম্পিউটার – তাও কিছু হলো না!” কিংবা “পিসি তো লেটেস্ট, নতুন মেশিনে আবার ভাইরাস ধরে নাকি!” – তাহলে, পয়সা খরচ করে অ্যান্টিভাইরাস কিনা কতটা জরুরী? কামাল (ছদ্মনাম), কাজ করছেন একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রশাসনিক শাখায়। মাসখানিক আগে কম্পিউটার কিনেছেন – একে তো হাই কনফিগারেশন, তাতে আবার উইন্ডোজ টেন!
পরের ঘটনা দেখুন তাঁর পাঠানো বার্তায়-
“শুনেছিলাম, উইন্ডোজ টেন ব্যবহার করলে অ্যান্টিভাইরাস লাগে না! তাই আর নেইনি। সবকিছু ঠিকঠাকই ছিল, কিন্তু সেদিন ফেইসবুকে ঈদের একটা মুভির ডাউনলোড লিংক পেয়ে ক্লিক করার পর থেকেই যত ঝামেলা। ডাউনলোড করা ফাইলটা ওপেন করার পর পর কী কী যেন ম্যাসেজ শো করলো – এরপর থেকেই পিসির অদ্ভুত আচরণ।”
“প্রচণ্ড স্লো, নেট পায় আবার চলে যায়। স্ক্যানিং করতে সেটিংস থেকে ডিফল্ট অ্যান্টিভাইরাসে গিয়ে দেখি সেটিও নেই। সিকিউরিটি সেটিংস অটো-লকড!”
আসলে, কম্পিউটার বা মোবাইল ফোন নতুন কিংবা পুরনো যাই হোক না কেন – ভাইরাসের আক্রমণ হতে পারে যেকোনো সময়েই। আগে হয়নি বলে যে হবে না কিংবা হাই কনফিগারেশন বলে ছোঁবে না এমন ভাবনা ভাবাটাই বোকামি। এবার আসছি বিনামূল্যের সাইবার সিকিউরিটি প্রোগ্রামের বিষয়ে- মূলত যে উদ্দেশ্যে এসবের ব্যবহার অর্থাৎ ৩৬০ ডিগ্রি নিরাপত্তা – দায়সারা গোছের ফ্রি অ্যান্টিভাইরাস তা কখনোই নিশ্চিত করতে পারে না।
বিভিন্ন ফ্রিওয়্যার ভাইরাস ও ম্যালওয়্যার ধরতে পারে না – কারণ এসবের কোনোটিতে আধুনিক ডিটেকশন টেকনোলোজি যুক্ত করা নেই। চাকচিক্য থাকলেও বিনামূল্যে পাওয়া এসব নিরাপত্তা প্রোগ্রাম রুটকিট, স্পাইওয়্যার বা হ্যাকারদের আক্রমণ ঠেকাতে পারে না। এছাড়াও নিত্যনতুন সংক্রামিত কম্পিউটার ভাইরাস ও কি-লগারসহ বিভিন্ন অনলাইন থ্রেট ঠেকাতে চাই উন্নত স্ক্যান ইঞ্জিন, প্যারেন্টাল কন্ট্রোল ইত্যাদি আধুনিক নিরাপত্তা সেবা। শুধু তাই নয়, একজন ব্যবহারকারী হিসেবে দিন-রাত যেকোনো সময় কারিগরি সমস্যা বা ব্যবহারবিধি বিষয়ক যেকোনো জিজ্ঞাসা মেটাতেও এসব ফ্রি অ্যান্টিভাইরাসের কোনো সাপোর্ট সেবা নেই। তাই, কেবল নিজের একার নিরাপত্তা নয়, যেহেতু ইন্টারনেট ব্যবহারের সঙ্গে যেহেতু পরিবারের অন্য সদস্যরাও জড়িত, ফ্রি অ্যান্টিভাইরাসের উপর আস্থা না রেখে বাজার থেকে দেখেশুনে যাচাই করে প্রিমিয়াম মানের কোনো অ্যান্টিভাইরাসের লাইসেন্সড ভার্সন ব্যবহার করা উচিত।