অনলাইন ট্রানজেকশন এখন কম্পিউটার স্ক্রিন থেকে পৌঁছে গেছে মোবাইল ফোনের ক্ষুদে পর্দায়ও। একই সঙ্গে ডিজিটালাইজেশনের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে সাইবার দুর্বৃত্তের সংখ্যাও। অনলাইন ট্রানজেকশনে নিরাপদ থাকতে তাই এখানে তুলে ধরা হলো প্রয়োজনীয় কিছু টিপস:
অনিরাপদ সাইট থেকে কিছু কিনবেন না
হ্যাকারদের বহুল ব্যবহৃত একটি কৌশল হচ্ছে চেনাজানা কোনো বড় কোম্পানির নামে নকল ওয়েবসাইট সাজিয়ে সেখান থেকে পণ্য কিনতে মানুষকে উদ্বুদ্ধ করা। তাই যে কোনো ওয়েবসাইট থেকে হুটহাট কেনাকাটা করা উচিত নয়। অনলাইন শপিংয়ের আগে যাচাই করে নিন এটিই উল্লিখিত কোম্পানির সাইট কি না? নিশ্চিত হওয়ার আগ পর্যন্ত কখনোই কোথাও পেমেন্ট সংক্রান্ত ফর্ম পূরণ করবেন না।
ফ্রি/পাবলিক ওয়াইফাই থেকে কোনো অর্ডার না
ফ্রি বা পাবলিক ওয়াইফাইগুলো শুধু যে অনিরাপদ তাই না, বরং ডেকে আনতে পারে হুমকিও। তাই, এসব থেকে ইন্টারনেটে সংযুক্ত হয়ে অনলাইনে শপিং অর্ডার করা ঠিক না। শুধু তাই নয়, এ ধরনের সংযোগ ব্যবহার করে কোথাও ক্রেডিট কার্ড তথ্য বা অন্য কোনো গোপনীয় তথ্যও শেয়ার করা উচিত না।
ইউজার অ্যাকাউন্ট কন্ট্রোল চালু
অনেকেই পিসি বা ল্যাপটপে ইউজার অ্যাকাউন্ট কন্ট্রোল তথা অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ কোনো কিছু পরিবর্তন করা হলে তার সতর্কতা দেখানো বন্ধ করে রাখে। এটা ক্ষতির কারণ হতে পারে যে কোনো সময়। ইউজার অ্যাকাউন্ট কন্ট্রোল চালু থাকলে নিজে থেকে পিসিতে কোনো প্রোগ্রাম ইনস্টল হতে চাইলে বা দুর থেকে কেউ আপনার ডিভাইস নিয়ন্ত্রণ করতে চাইলে আপনি তা জানতে পারবেন।
ফায়ারওয়াল – নিরাপত্তার বাল্যশিক্ষা
অনলাইন থ্রেট মোকাবেলায় কার্যকর উপায় ফায়ারওয়াল চালু রাখা। আপনি চাইলে উইন্ডোজের নিজস্ব ফায়ারওয়াল বা অন্য কোনো ফায়ারওয়ালও ব্যবহার করতে পারেন।
অ্যান্টিভাইরাসের কোনো বিকল্প নেই
আপনার যদি একটি পিসি বা মোবাইল থেকে থাকে, আর তা দিয়ে আপনি ইন্টারনেট ব্যবহার করে থাকেন – তবে আপনার জন্য অ্যান্টিভাইরাসের কোনো বিকল্প নেই। বাজারে বিভিন্ন নামের ও দামের অ্যান্টিভাইরাস পাওয়া গেলেও সবগুলোর কার্যকারিতা এক রকমের নয়। তাই দেখে-শুনে নিজের প্রয়োজনবুঝে যাচাই করে আপনার উপযোগী অ্যান্টিভাইরাস ব্যবহার করুন। তবে, শুধু অ্যান্টিভাইরাস ইনস্টল করাই নয়, নিয়মিত আপডেট বা অটো-আপডেট চালু করে রাখতে হবে।