ক্ষুদ্র ব্যবসায়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সাইবার সিকিউরিটি টিপস

যেকোনো ব্যবসায়ের শুরুই ঝুঁকিপূর্ণ। নানাবিধ ঝুঁকির মাঝে আছে সাইবার হামলার ভয়ও। পর্যাপ্ত নিরাপত্তার অভাবে যেকোনো সময় প্রাতিষ্ঠানিক ও গ্রাহক ডাটা বেহাত হওয়ার পাশাপাশি এতে পুরো ব্যবসায়েও ধস নামতে পারে। তাই, আর্থিক ও সুনাম ক্ষতি এড়াতে শুরু থেকেই সাইবার নিরাপত্তায় সচেতন থাকা উচিত স্টার্টআপসমূহের।

যেনতেন অ্যান্টিভাইরাস নয়

প্রাতিষ্ঠানিক কম্পিউটারসমূহে শুরু থেকেই নিরাপত্তা সফটওয়্যার ব্যবহার করা উচিত। তবে, তাই বলে অনলাইন থেকে নামসর্বস্ব অ্যান্টিভাইরাস না নামিয়ে বাজার থেকে দেখেশুনে যাচাই করে ভালো মানের অ্যান্টিভাইরাসের লাইসেন্সড ভার্সন ব্যবহার করা উচিত। আর, পরিকল্পিত আকারে শুরু করলে শুরু থেকেই চেষ্টা করুন এন্ডপয়েন্ট সিকিউরিটি ব্যবহার করার।

এমপ্লয়ি ট্রেনিং

প্রতিষ্ঠানের ভালো-মন্দ বলুন, আর গ্রাহক ডাটা বলুন – আপনার প্রতিষ্ঠানের কর্মীরাই হচ্ছে প্রথম সুরক্ষাকারী। তাই, তাঁদের জন্য সাইবার নিরাপত্তা ট্রেনিংয়ের বিকল্প নেই। পরবর্তীতে নতুন কর্মী নেয়া হলে পুরনোদের দিয়ে তাঁদেরও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করুন।

ব্যাকআপ রাখার প্রবণতা ও হালনাগাদ

সাইবার নিরাপত্তায় আরেকটি সাধারণ ও পরীক্ষিত উপায়- ব্যাকআপ রাখার অভ্যাস গড়ে তোলা ও নিয়মিত তা হালনাগাদ করা। প্রয়োজনীয় প্রতিটি পিসির ফাইল আলাদা হার্ড ডিস্ক বা ক্লাউডে ব্যাকআপ রাখার পাশাপাশি সপ্তাহ বা মাসান্তে তা হালনাগাদ করার অভ্যাস গড়ে তুলুন।

অননুমেয় ও শক্তিশালী পাসওয়ার্ড

হ্যাকিং তথা সাইবার আক্রমণের শিকার হওয়া প্রতিহত করতে প্রতিটি ক্রেডেনশিয়ালে অননুমেয় ও শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুন। অ্যাডমিন লগইনের পাশাপাশি কর্মীদেরও তাঁদের নিজস্ব অ্যাকাউন্টসমূহে অক্ষর, সংখ্যা ও চিহ্ন মিলিয়ে অন্তত আট (৮) অক্ষরের পাসওয়ার্ড ব্যবহার করার পরামর্শ দিন।

সতর্ক হোন ওয়াইফাইয়ের ক্ষেত্রেও

প্রাতিষ্ঠানিক ওয়াইফাই শুধু নিরাপদ হলেই চলবে না, এটি হিডেন ও এনক্রিপ্টেড করে দিন। পাসওয়ার্ড জানলেই যে কেউ যেকোনো ডিভাইস থেকে যেন লগইন করতে না পারে – সেজন্য অ্যালাউড ডিভাইস লিস্ট করে দিন।