অ্যান্টিভাইরাস নিয়ে মিথ মানে প্রচলিত কথার শেষ নেই। কেউ বলেন ‘অ্যান্টিভাইরাস নিজেই ভাইরাস’ তো কেউ বলেন ‘অ্যান্টিভাইরাস পিসি স্লো করে দেয়’, কেউ বলেন ‘ম্যাক তথা অ্যাপল ডিভাইসে অ্যান্টিভাইরাস লাগে না’ আবার কেউ বলেন ‘দুটি অ্যান্টিভাইরাস ব্যবহার করা বেশি সেফ’!
চলুন, তবে দেখে নেই- আসলে কোনটা সত্য আর কোনটা না?
প্রথমেই অ্যান্টিভাইরাস নিয়ে সবচেয়ে বহুল প্রচলিত কথা ‘অ্যান্টিভাইরাস নিজেই ভাইরাস’ এর কথায় আসি। এর সত্যতার সম্ভাবনা ফিফটি-ফিফটি! আপনি যদি অনলাইন থেকে নামসর্বস্ব অ্যান্টিভাইরাস বা সিকিউরিটি চেকার জাতীয় সফটওয়্যার ডাউনলোড করে থাকেন তবে সাইবার সুরক্ষার বদলে হ্যাকিংয়ের শিকার হতে পারেন।
সাইবার নিরাপত্তার জন্য বাজার থেকে দেখেশুনে যাচাই করে ভালো মানের অ্যান্টিভাইরাসের লাইসেন্সড ভার্সন ক্রয় করুন।
এর সত্যতার সম্ভাবনাও ফিফটি-ফিফটি! কিছু কিছু অ্যান্টিভাইরাস ইনস্টল করলে পিসি স্লো হতে পারে। মনে রাখবেন, যেসব অ্যান্টিভাইরাসের রিসোর্স ফাইল তথা যা পিসিতে জায়গা দখল করে নেয় তার আকার যদি বেশি হয় তবে পিসি স্লো হতে পারে।
অ্যান্টিভাইরাস কেনার সময় তা কম্পিউটারের কতটুকু জায়গা দখল করে নেবে – তা জেনে নিন।
কম্পিউটারে অ্যান্টিভাইরাস ইনস্টল করে অবশ্যই ফুল স্ক্যান করতে হবে – স্ক্যানিংশেষে ভাইরাস মুছে কুইক স্ক্যান দিয়ে পিসি রিস্টার্ট করে দেখুন। পরিবর্তন আপনিই বুঝতে পারবেন!
কম্পিউটারে সবসময় নতুনের মতো পারফর্মেন্স পেতে অবশ্যই অ্যান্টিভাইরাস ও অপারেটিং সিস্টেমের অটো-আপডেট চালু রাখুন।
উইন্ডোজ কিংবা ম্যাক – যে অপারেটিং সিস্টেমই ব্যবহার করেন না কেন – যদি অফলাইন কিংবা অনলাইনে তথ্য বা ফাইল বিনিময় করে থাকেন তবে অবশ্যই সাইবার নিরাপত্তার জন্য অ্যান্টিভাইরাস ব্যবহার করা আবশ্যক। অনেক অ্যাপল ব্যবহারকারী তাঁদের ডিভাইসে অ্যান্টিভাইরাস লাগবে না বলে মনে করলেও পরে সাইবার আক্রমণের শিকার হয়ে থাকেন।
নিরাপদ থাকতে অবশ্যই ম্যাক ডিভাইসেও ভালো মানের অ্যান্টিভাইরাসের লাইসেন্সড ভার্সন ব্যবহার করা উচিত।
অবশ্যই না, ডিভাইসের সুরক্ষায় একটি অ্যান্টিভাইরাসই যথেষ্ট। একাধিক অ্যান্টিভাইরাস বরং আপনার ডিভাইস স্লো করে দেবে।
কোনো অবস্থাতেই দুটি নয়, বাজার থেকে দেখেশুনে যাচাই করে ভালো মানের একটি অ্যান্টিভাইরাসেরই লাইসেন্সড ভার্সন ব্যবহার করুন, নিরাপদ থাকুন।