তেল-সাবান কেনা থেকে শুরু করে স্যুট বানানোর অর্ডারও এখন ওয়েবসাইটে দেয়া যায়। যুগটাই এখন অনলাইনের। এতে একদিকে যেমন সহজ হচ্ছে জীবনধারা, তেমনি ক্রেডিট কার্ড বেহাত থেকে আছে একান্ত তথ্য কেলেঙ্কারির হ্যাপাও! যারা অতশত ঝামেলা বুঝতে কিংবা ঝামেলা এড়িয়ে চলতে চান তাঁদের জন্য এই পোস্টে থাকছে নিরাপদ ওয়েবসাইট চিনে নেয়ার কিছু সহজ কৌশল।
নিজে গুগল করে খুঁজে নিলে কথা নেই, কিন্তু যদি বিজ্ঞাপন দেখে কোনো ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে থাকেন তাহলে অবশ্যই প্রথমে ওয়েবসাইটের নাম খেয়াল করতে হবে। মনে রাখবেন ফিশিং ওয়েবসাইটের নাম কিন্তু আসল সাইটের মতোই হয়তো মাঝে কোনো একটি বাড়তি বর্ণ কিংবা কোনো বর্ণের কমতি থাকবে। অন্যথায়, খেয়াল করুন আসল সাইটের শেষে .com থেকে নকল সাইটে আবার .net, .org বা .xyz ইত্যাদি নেই তো?
কোনো সাইট এনক্রিপ্টেড মানে তাতে কোনো তথ্য দেয়া হলে তা নিরাপদ থাকে কি না তা জেনে নিতে ওয়েবসাইটের নামের শুরুতে https:// আছে কি না দেখে নিন।
কোনো ওয়েবসাইট নিরাপদ কি না তা যাচাই করতে অনলাইনেও কিছু ওয়েবসাইট আছে যেখানে আপনি কাঙ্ক্ষিত সাইটের ইউআরএলটি উল্লেখ করলে চেক করে সঙ্গে সঙ্গে জানিয়ে দেয়।
অনলাইনে নিরাপদ থাকতে নিরাপত্তা প্রোগ্রাম তথা অ্যান্টিভাইরাসের কোনো বিকল্প নেই। এক্ষেত্রে তথাকথিত ফ্রি সফটওয়্যার ডাউনলোড না করে অবশ্যই বাজার থেকে দেখেশুনে সেফ ব্রাউজিং সুবিধা আছে এমন অ্যান্টিভাইরাস ব্যবহার করুন।
যেকোনো প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে জানার সবচাইতে ভালো উপায় অ্যাবাউট ও কন্টাক্ট পাতা যাচাই করে দেখা। প্রতিটি প্রতিষ্ঠানেরই অ্যাবাউট পাতায় মালিক পক্ষ ও কন্টাক্ট পাতায় নিজেদের ঠিকানা ইত্যাদি উল্লেখ করা থাকে। কোনো সাইটে এসবের অনুপস্থিতি নামসর্বস্বতা প্রমাণ করে।
কোনো সাইট আপনার কী কী তথ্য চাইতে পারে এবং তা কোন কোন দরকারে – প্রাইভেসি পলিসিতে তা উল্লেখ করা থাকে। যেকোনো সাইটের হোমপেইজে নিচের অংশে তা দেখে চাইলে নিশ্চিত হয়ে নিতে পারেন।
কোনো সাইট নিয়ে সন্দেহ হলে ভাষারীতি খেয়াল করুন। শব্দ চয়ন ও ব্যাকরণরীতি থেকে তা আদৌ মানসম্পন্ন কোম্পানির কি না তার একতা ধারণা পেতে পারবেন।