একটানা ব্যবহার, অতিরিক্ত সফটওয়্যার কিংবা আপডেট না করা – ইত্যাদি বিভিন্ন কারণে কম্পিউটার স্লো হতে পারে। স্লো কম্পিউটার ফাস্ট করতে এখানে তুলে ধরা হলো কার্যকর কিছু টিপস:
কম্পিউটার চালু হওয়ার সময় কিছু সফটওয়্যার নিজে থেকেই চালু হয়। সাধারণত, এর জন্য কম্পিউটারের গতি কমে যায়। Alt+Ctrl+Del চেপে টাস্ক ম্যানেজারে প্রবেশ করুন। যেসব অ্যাপস ব্যবহার করছেন না End Task করে বন্ধ করে দিন। রিফ্রেশ দিয়ে দেখুন!
নিশ্চয়ই প্রতিবার কম্পিউটার চালানোর সময় এভাবে ব্যাকগ্রাউন্ড অ্যাপ থামাতে ভালো লাগার কথা না। সেজন্য কার্যকর পদ্ধতি হচ্ছে স্টার্টআপ অপটিমাইজেশন। স্টার্টআপ হচ্ছে একটি কম্পিউটার চালু হওয়ার সময় কী কী সফটওয়্যার নিজে থেকে চালু হয়ে যাবে – তা নির্দিষ্ট করে দেয়া। প্রায় সব কম্পিউটারেই অধিকাংশ সফটওয়্যার পিসি স্টার্ট হওয়ার সময় চালু হয় বলে অন/অফ টাইম অনেক বেশি লাগে। এমন যদি হয় আপনার কম্পিউটারে বিজয় এবং অভ্র দুটোই আছে এবং কম্পিউটার চালু হওয়ার সময় একই সঙ্গে দুটোই চালু হয়ে যায় – সেক্ষেত্রে এখান থেকে যেকোনো একটির অটো-স্টার্ট চালু রেখে অন্যটি ডিজেবল করে দিতে পারেন। আপনার কম্পিউটারের কোন কোন সফটওয়্যার অটো-স্টার্ট নেয় তা দেখতে এবং অপ্রয়োজনীয় সফটওয়্যারের স্টার্টআপ ডিজেবল করে দিতে কী-বোর্ড থেকে Ctrl+R চেপে msconfig লিখে Enter চাপুন। এবার Startup সিলেক্ট করে অপ্রয়োজনীয় সফটওয়্যার ডিজেবল করে দিন।
দোকান থেকে নতুন ডেস্কটপ বা ল্যাপটপ কিনে আনার সময় বেশকিছু সফটওয়্যার প্রি-ইনস্টলড করে দেয়া হয়। এছাড়াও, অনেকেই বন্ধুর কম্পিউটার বা হাতের কাছে সফটওয়্যারের সিডি পেলে সেখান থেকে কিছু সফটওয়্যার এনে নিজের কম্পিউটারে সেট করে নেয় – যা একেবারেই অনুচিত। নিজের সংগ্রহে রাখতে চাইলে ইনস্টল না করেও কোনো একটি ড্রাইভে তা কপি করে রাখা যায়। পরে কখনো দরকার হলে সেখান থেকে নিয়ে ইনস্টল করে ব্যবহার করা যাবে। এছাড়াও, অনেকের কম্পিউটারে একই কাজের বা ধরণের সফটওয়্যার একাধিক করে থাকে, যেমন ইন্টারনেট ব্রাউজ করার জন্য ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার, মজিলা এবং ক্রোম আবার ছবি এডিট করার জন্য ফটোশপ আছে, আবার পিকাসাও ইনস্টলড করা; কেউ কেউ এমনকি একই কম্পিউটারে দুটি বা তিনটি অ্যান্টিভাইরাস পর্যন্ত ব্যবহার করেন! এটি কম্পিউটার স্লো হওয়ার পেছনের সবচেয়ে বড় কারণ। একটি কাজের জন্য কম্পিউটারে একটি সফটওয়্যার ব্যবহার করুন, বাড়তি কাজের জন্য অন্য কোনো অ্যাপ্লিকেশন লাগলে দরকারের সময় ইনস্টল করে ব্যবহার করুন ও কাজশেষে তা আবার আনইনস্টল করে ফেলুন।
শুনে অন্যরকম মনে হলেও এটাই সত্যি যে অফিসের কম্পিউটার বা নিত্য ব্যবহার্য কাজের কম্পিউটার অতীতের ছবি, এইচডি মুভি বা পারিবারিক হিসাব-নিকাশের ফাইল সংরক্ষণের জায়গা না! এসবের জন্য আলাদা তথা পোর্টেবল ইউএসবি হার্ডডিস্ক ব্যবহার করুন।
ঘর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে যেমন মাঝে মাঝে সব ঝেড়ে মুছে রাখা লাগে, তেমনি পিসির পারফর্মেন্স ধরে রাখতেও মাঝে মাঝে জাংক ফাইলস মুছে ফেলতে হয়। নিচের ভিডিওতে দেখে নিন কীভাবে তা করবেন:
নিজে নিজে টিউন করা ঝামেলার মনে হতে পারে। সেজন্য বুদ্ধিমানের কাজ হবে অ্যান্টিভাইরাস কেনার সময় তাতে পিসি টিউন-আপ সুবিধা আছে কি না দেখে কিনা। মনে রাখবেন, অনলাইনে বিভিন্ন ফ্রি টিউন-আপ পাওয়া গেলেও এসবের কোনটিই সম্পূর্ণ টিউন-আপ সুবিধা দেয় না বলে তা দিয়ে স্ক্যানিং করা উল্টো ক্ষতির কারণ ডেকে আনতে পারে। ভাইরাস বা ম্যালওয়্যার থেকে সুরক্ষার পাশাপাশি কম্পিউটারের উন্নত পারফরমেন্স পেতে বাজার থেকে দেখে-শুনে, যাচাই করে ভালো মানের কোনো অ্যান্টিভাইরাসের লাইসেন্সড ভার্সন ব্যবহার করা উচিত।