টার্গেট অনলাইনে যা কিছুই করে তা মনিটর জন্য যেসব ম্যালওয়্যার ব্যবহৃত হয় তাদের বলা হয় স্পাইওয়্যার। মূলত টার্গেট কোন কোন ওয়েবসাইট ব্রাউজ করেন, বিভিন্ন ওয়েবসাইটে তাঁর উল্লেখ করা তথ্য থেকে নাম, ঠিকানা, ফোন নম্বর ও কার্ডের তথ্য হাতিয়ে নেয়ার জন্য স্পাইওয়্যার ব্যবহার করা হয়। ডিভাইসে গোপনে স্পাইওয়্যার থেকে থাকলে তা ভয়াবহ বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে। চলুন তবে দেখে নেই স্পাইওয়্যার প্রটেকশন টিপস:
ছবি বা অন্যান্য ফাইলের মতো অনেকে বিভিন্ন সময় অ্যাপও শেয়ার ইট করে বা পুরনো ভার্সন বন্ধুদের থেকে সংগ্রহ করে, যা কখনোই করা উচিত নয়। এতে স্পাইওয়্যারের আক্রমণের পাশাপাশি ডিভাইসে রক্ষিত তথ্য বেহাত হওয়ার ঝুঁকি থাকে। প্রয়োজনে তাই এমবি খরচ করে অ্যাপ বা সফটওয়্যার ডাউনলোড করার অভ্যাস করুন ও নিরাপদ থাকুন।
ছবি তোলার জন্য নানাবিধ ক্যাম থেকে শুরু করে কারাওকে – যেকোনো কাজের জন্য অনলাইনে সার্চ দিলেই ভেসে আসে হাজার হাজার অ্যাপ তথা সফটওয়্যার। হতে পারে এদের সবকয়টিই কাজের, কিন্তু নির্ভরযোগ্য কখনোই না। তাই সবার আগে সচেতন হতে হবে অ্যাপ/সফটওয়্যার ডাউনলোডের ক্ষেত্রে। কম্পিউটারের জন্য কেবল বিশ্বস্ত ওয়েবসাইট থেকে সফটওয়্যার ডাউনলোডের পাশাপাশি মোবাইল ফোনের জন্যও কেবল প্লে স্টোর ও আইটিউনস থেকে অ্যাপস ডাউনলোড করা উচিত। আর, অ্যাপ/সফটওয়্যার ডাউনলোডের আগে অবশ্যই রিভিউ ও রেটিং দেখে নিতে হবে।
কোনো একটি সাইটে প্রবেশ করলে বা কিছু একটা করার সময় হুট করে স্ক্রিনে বিজ্ঞাপন ভেসে আসে, এদের বলা হয় পপ-আপ। যত আকর্ষণীয়ই হোক না কেন এমন বিজ্ঞাপন এলে কোনো অবস্থাতেই ক্লিক করা উচিত নয়। এমনকি কেটে দেয়ার জন্য বিজ্ঞাপনে দেখানো ক্রস চিহ্ন বা ক্লোজ বাটনেও ক্লিক করার দরকার নেই (এতে অনেক সময় রিডিরেক্টেড হয়)। পরিবর্তে, পুরো উইন্ডোটি ক্লোজ করে রিওপেন করা উচিত।
স্পাইওয়্যার থেকে নিরাপদ থাকতে আপডেটেড থাকার কোনো বিকল্প নেই। মোবাইল ফোন কিংবা কম্পিউটার যেখানে যা অ্যাপ এবং সফটওয়্যার ব্যবহার করেন অবশ্যই আপডেটেড রাখুন। অনেকেই, সামান্য কিছু এমবি বাঁচাতে অটো-আপডেট বন্ধ করে রাখেন যা ডিভাইস ও নিজের নিরাপত্তা ক্ষতিগ্রস্ত করে।
সিডি বা ইউএসবি ডিভাইস ইনসার্ট করলে কাজের সুবিধার জন্য অটো-রান ফিচার চালু রাখেন কেউ কেউ – এতে স্পাইওয়্যার আক্রমণের শঙ্কা বেড়ে যায়। তাই অটো-রান এমনকি পিসির সঙ্গে মোবাইল যুক্ত করা হলে অটো সিঙ্ক্রোনাইজেশনও বন্ধ রাখা উচিত।
বিল/চালান/গোপন তথ্য যা বলেই পাঠানো হোক না কেন, অপরিচিত ইমেইল ঠিকানা থেকে আসা কোনো অ্যাটাচমেন্ট ফাইলে ক্লিক করা উচিত না। পরিচিত মানুষের কাছ থেকে মেইল পেলেও খোলার আগে সেন্ডার নেমের উপর মাউস নিয়ে গিয়ে দেখে নিন আপনি যাকে ভাবছেন আসলেই তিনি কি না?
গেমস, কত বছর বয়সে কেমন দেখাবে কিংবা কারা আপনার প্রোফাইল ভিজিট করেছে – এমন লিংকে ক্লিক করা থেকে বিরত থাকুন। এসব লিংক থেকে স্পাইওয়্যার ছড়ানোর পাশাপাশি অ্যাকাউন্টও হ্যাক হতে পারে।
অনলাইনে নিরাপদ থাকতে সেফ ব্রাউজিং ফিচার সমৃদ্ধ যেকোনো ভালো মানের অ্যান্টিভাইরাসের লাইসেন্সড ভার্সন ব্যবহারের বিকল্প নেই। কম্পিউটারের পাশাপাশি ফোনের জন্যও মোবাইল সিকিউরিটি ব্যবহার করুন।