ধরা যাক, ঘণ্টা বা দিনঘেঁটে কোনো ডকুমেন্ট তৈরি করলেন… এমন সময় হুট করে পিসিটাই অফ হয়ে গেল! কন্ট্রোল প্লাস এস চেপেছেন কি না একে তো তা মনে করতে পারছেন না তার উপর নিজে কিছুক্ষণ চেষ্টা করে খবর দেয়া টেকজান্তা বন্ধুও আর তা অন করতে পারলেন না। নিয়ে গেলেন আইডিবি বা অন্য কোনো কম্পিউটার মার্কেটে, সেখানে প্রাথমিক অনুসন্ধানশেষে পরের দিন জানালো- হার্ডডিস্ক ক্র্যাশ করেছে!! কেমন লাগবে?
ভালো লাগার কথা না, আমরাও জানি। তবে, মনে রাখতে হবে যে ডাটা লস যেকোনো সময়েই ঘটতে পারে। কেবল হার্ড ডিস্ক ক্র্যাশ না, ডাটা লস হতে পারে ওএস ক্র্যাশ, র্যানসমওয়্যার আক্রমণ কিংবা ডিভাইস চুরি বা হারানো যাওয়ার ফলেও। আর ডাটা লসে কেবল পার্সোনাল ডাটাই নয়, হারাতে পারে অফিসিয়াল এবং ক্লায়েন্ট ডাটাও। তাই ডাটা লস হয়ে ডিজাস্টার হলে নয়, সচেতন হতে হবে এখনই।
কোনো কারণে ডিভাইস হারালে বা নষ্ট হলেও ডাটা লস প্রতিহত করতে নিরখরচায় সবচেয়ে ভালো উপায় ডাটা ব্যাকআপ। তিনভাবে ডাটার ব্যাকআপ জনপ্রিয় – এক্সটার্নাল ড্রাইভ, সার্ভার ও ক্লাউড স্টোরেজ। পার্সোনাল ও অফিসিয়াল ডাটা চাইলে এক্সটার্নাল ড্রাইভ যেমন ইউএসবি হার্ডডিস্ক বা পেনড্রাইভে ব্যাকআপ করে রাখা যায়। আবার কোম্পানির সার্ভার থাকলে কর্পোরেট ডাটা সেখানেও তুলে রাখা যায়। সার্ভার না থাকলে বা নিজের ডাটা চাইলে ক্লাউড স্টোরেজ যেমন গুগল ড্রাইভ, ওয়ান ড্রাইভ এসবেও সংরক্ষণ করা যায়। আর, রিভ অ্যান্টিভাইরাস ব্যবহারকারীরা চাইলে এক ক্লিকেই ডিভাইসের ডাটা সংরক্ষণ করে রাখতে পারেন রিভের সুরক্ষিত ব্যাকআপে।