“ডিয়ার ইউজার, …” অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ডাটা ব্রিচ সংক্রান্ত মেইল এমন কথা দিয়ে শুরু হলেও ‘প্রিয়’ পরে আর প্রিয় থাকেন না! মেইলের পরের লাইনগুলোতে কঠিন কঠিন ভাষায় যা বলা হয় তার মর্মার্থ এমন যে আপনার অফিস বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কম্পিউটারে থাকা ডাটাগুলি চুরি হয়েছে। এসব অন্য কারো হাতে যেন না পড়ে এটা নিশ্চিত করতে চাইলে আপনাকে ‘এত’ টাকা দিতে হবে! দেখা গেছে অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানেরই ডাটা ব্রিচ প্রতিহত করতে অনেক বড় অংকের টাকা খরচ হয়। আর, খরচের পাশাপাশি বিড়ম্বনা তো আছেই!
এমন খরচ ও বিড়ম্বনা এড়াতে আপনার অফিস ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের জন্য আইটি সাইবার সিকিউরিটি চেকলিস্ট মিলিয়ে দেখতে পারেন:
অনলাইনে নিরাপত্তার প্রথম কথা পাসওয়ার্ড। অফিসিয়াল ডকুমেন্ট আদানপ্রদান থেকে শুরু করে ব্যক্তিগত ফাইলের ব্যাকআপ, চ্যাটিং, ব্যাংকিং সবই এখন অনলাইননির্ভর। আর, অসতর্ক পাসওয়ার্ড যেকোনো সময় অনলাইনে বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে। কমপক্ষে আট অক্ষরের দীর্ঘ ও জটিল পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুন। বড় হাতের এবং ছোট হাতের অক্ষর, সংখ্যা ও চিহ্ন ইত্যাদির কম্বিনেশনে পাসওয়ার্ড তৈরি করুন এবং প্রতিটি ওয়েবসাইটের জন্য আলাদা আলাদা পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুন। সমস্যা হোক বা না হোক, বছরে অন্তত একবার পাসওয়ার্ড বদলে ফেলুন। মনে রাখতে হবে ভিন্ন ভিন্ন আইডিতে একই পাসওয়ার্ড কিংবা আগে একবার ব্যবহার করা পাসওয়ার্ড আবার নতুন করে সেট করা – অনলাইনে নিরাপত্তার জন্য ক্ষতিকর। এছাড়াও, পাসওয়ার্ডে কোনো অবস্থাতেই নিজের বা প্রতিষ্ঠানের নাম কিংবা নামের অংশ, ব্যক্তিগত তথ্য যেমন জন্ম তারিখ, মোবাইল নম্বর অথবা প্রিয় মানুষের নাম ইত্যাদি যুক্ত করবেন না।
উঠতে-বসতে সবকিছুতেই এখন ইউএসবি, কিন্তু জানেন তো ইউএসবি কতটা ভয়ঙ্কর? ইউএসবি পোর্ট সুবিধায় নিজের ফোন অন্যের পিসিতে চার্জ দেয়া কিংবা নিজের পিসিতে অন্য কারো ডিভাইস চার্জ হতে দেয়া বা ডাটা ট্রান্সফার – দুভাবেই আপনার ডিভাইসে থাকা ডাটা, ছবি ইত্যাদি চুরি হতে পারে!
ডাটা কোনো কারণে বেহাত হলেও যেন সমস্যাগ্রস্ত না হতে হয় সেজন্য ছোট/বড় সব প্রতিষ্ঠানেই ডাটা ব্যাকআপের ব্যবস্থা রাখা উচিত। এছাড়াও, রক্ষিত ব্যাকআপ সপ্তাহ কিংবা মাসের শেষ দিনে আপডেট করে নিতে হবে নিয়মিত।
অফিস বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে সবাই যে নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে তা যেন অবশ্যই নিরাপদ হয় নিশ্চিত করা আবশ্যক। সার্ভার কম্পিউটারের নিরাপত্তা বিধানে সার্ভার সিকিউরিটি ব্যবহার করাসহ কেন্দ্রীয়ভাবে ভিপিএন ইনস্টল ও অফিসের প্রতিটি কম্পিউটারে প্রিমিয়াম মানের অ্যান্টিভাইরাস ব্যবহার করা উচিত।