নিরাপদ অনলাইনের গুরুত্ব ও কৌশল সর্বসাধারণের কাছে তুলে ধরতে আগামী সাত এপ্রিল ভারত উদযাপন করতে যাচ্ছে ‘ইন্ডিয়া ইন্টারনেট ডে’। সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশেও একাধিক সাইবার আক্রমণের প্রেক্ষিতে সচেতন হওয়া প্রয়োজন আমাদেরও। নিরাপদ অনলাইন অভিজ্ঞতার জন্য এখানে তুলে ধরা হলো প্রয়োজনীয় ১১ কৌশল:
- অনলাইন ব্যাংকিং কিংবা শপিং – ট্রানজেকশন করার সময় অবশ্যই খেয়াল করুন ওয়েবসাইটের নামের শুরুতে https:// আছে কি না?
- বাসায় অপ্রাপ্ত বয়স্ক ইন্টারনেট ব্যবহারকারী থাকলে অবশ্যই অ্যাডভান্সড প্যারেন্টাল কন্ট্রোল সুবিধা আছে এমন অ্যান্টিভাইরাস ব্যবহার করুন।
- যখন ব্রাউজ করছেন না তখন মোবাইলের ডাটা কানেকশন এবং ওয়াইফাই বন্ধ রাখুন, এটি চার্জের সঙ্গে সাইবার ঝুঁকিও কমায়।
- অপরিচিত কারো কাছ থেকে আসা ইমেইলে কোনো অ্যাটাচড ফাইল বা লিঙ্ক থাকলে ক্লিক করা থেকে বিরত থাকুন।
- মোবাইল ফোনে অ্যাপ নামানোর সময় অবশ্যই ‘টার্মস এন্ড কন্ডিশনস’ পড়ে দেখুন, কী কী পারমিশন চাচ্ছে তাও একবার চোখ বুলিয়ে নিন।
- সামান্য কিছু এমবি বাঁচাতে ‘অটো-আপডেট’ বন্ধ রাখবেন না, এতে হ্যাকিং ঝুঁকি বেরে যায়। কম্পিউটার ও মোবাইল সবসময় আপডেটেড রাখুন।
- কেবল অপারেটিং সিস্টেম বা সিস্টেম আপডেটই না, নিয়মিত ব্যবহার করেন এমন অ্যাপসমূহও আপডেটেড রাখা উচিত।
- ফেসবুক বা অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একান্ত কোনো তথ্য বা ছবি পোস্ট করবেন না, এমনকি আর্থিক তথ্য মেসেজেও শেয়ার করবেন না।
- ঘরে কিংবা অফিস যেখানেই হোক না কেন – কম্পিউটার বা মোবাইল ফোনে অবশ্যই পাসওয়ার্ড বা লক ব্যবহার করুন।
- কোনো রিস্ক না থাকলেও অন্তত মাসে একবার আপনার গুরুত্বপূর্ণ ডাটা সমূহের ব্যাকআপ আলাদা কোনো হার্ড ডিস্ক বা পেনড্রাইভে সেভ করে রাখুন।
- একই কম্পিউটার বা মোবাইল যদি অন্য কেউ ব্যবহার করে, তবে অবশ্যই ফেসবুক, ইমেইলসহ যাবতীয় আইডি ব্যবহারশেষে লগ আউট করে দিন।
পরিশেষে, প্রযুক্তির সঙ্গে যেহেতু প্রযুক্তি দিয়েই লড়াই করতে হয় তাই আপনার কম্পিউটার বা মোবাইল ফোনের নিরাপত্তায় অবশ্যই প্রিমিয়াম মানের কোনো অ্যান্টিভাইরাসের লাইসেন্সড ভার্সন ব্যবহার করুন।